নরসিংদী কারাগারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র গুলি লুটসহ ৮২৬ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পাঁচ কর্মকর্তাসহ ৮২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেল সুপার ও জেলারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ও বাকি ৭৭ জনকে কারা অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে।
Advertisement
নরসিংদী কারাগারে সদ্য যোগদান করা জেলার আবু ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দির মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৯২ জন স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জেলার আবু ইউসুফ জানান, কারাগারে হামলার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলার, ডেপুটি জেলার ও জেল সুপারসহ পাঁচ কর্মকর্তা এবং ৭৭ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭ জন কারারক্ষীকে কারা অধিদপ্তর, ডেপুটি জেলার ও দুই সুবেদারকে ডিআইজি প্রিজন ও জেলার ও জেল সুপারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর জেলার ও জেল সুপারকে এবং সোমবার (২৯ জুলাই) ৭৭ কারারক্ষীসহ বাকিদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নরসিংদী আদালতের পরিদর্শক ওদেদুজ্জামান বলেন, নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে পাওয়া ৮২৬ বন্দির মধ্যে আজ পর্যন্ত ৫৯২ জন স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাদের বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই নরসিংদী কারাগারে হামলা চালায় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ওইসময় তারা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে জেল সুপার, জেলার অফিস, পুলিশ ব্যারাকসহ কারাগারের ভেতরে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে তারা অস্ত্রাগার থেকে ৮৫টি অস্ত্র এবং সাড়ে ৮ হাজার রাউন্ড গুলি ও খাবার লুট করে নেন।
ওইসময় জেলে থাকা আনসারুল্লাহ বাংলা ভাই জঙ্গি সংগঠনের ৯ সদস্যসহ ৮২৬ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসযজ্ঞ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ওইসময় কারাগারের ভেতরের বিভিন্ত প্রান্তে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়।
সঞ্জিত সাহা/এসআর/এএসএম
Advertisement