দেশজুড়ে

বরিশালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন বরিশালের সাংবাদিকরা।

Advertisement

গুরুতর আহতরা হলেন দৈনিক যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক শামীম আহম্মেদ, এনটিভির ক্যামেরাপারসন গোবিন্দ সাহা, বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি এসএলটি তুহিন ও যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন হৃদয় চন্দ্র শীল।

আহত সাংবাদিকরা বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) তানভীর আরাফাত সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেন।

হামলায় আহত দৈনিক যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের সময়ে আমি মাটিতে পড়ে যাই। তখন আমার হাতে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও আমাকে লাঠিপেটা করে। আজকের ঘটনায় পুলিশ মোটেও পেশাদার আচরণ করেনি। অপেশাদার ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

Advertisement

বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি এসএলটি তুহিন বলেন, ‘আমরা অনেক সাংবাদিক একসঙ্গেই ছিলাম। শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার সময় আমাদেরও পেটানো শুরু করে। আমি পায়ে আঘাত পেয়েছি। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।’

আরও পড়ুন:

বরিশালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ২০

হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অন্য দুজন হলেন এনটিভির ক্যামেরাপারসন গোবিন্দ সাহা ও যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন হৃদয় চন্দ্র শীল।

স্থানীয় একটি দৈনিকের সাংবাদিক পাভেল বলেন, ‘পুলিশ গণহারে সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। আমার গায়েও লাঠির আঘাত পড়েছে। তবে গুরুতর না হওয়ায় স্থানীয় ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।’

Advertisement

সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনার ফুটেজ দেখেছি। দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জকারী পুলিশ কর্মকর্তা কোনো পেশাদার আচরণ করেননি। অবিলম্বে লাঠিচার্জকারী পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করতে হবে।’

বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ নিন্দনীয় কাজ করেছে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা পুলিশকেই নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দ্বারা এমন আচরণ আমরা প্রত্যাশা করি না।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) তানভীর আরাফাত বলেন, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ করা হয়। এসময় অনিচ্ছাকৃত সাংবাদিকদের গায়ে লেগে যায়। এ ঘটনায় তখনই তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

শাওন খান/এসআর/এমএস