জাতীয়

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি বাড়ানো হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত সব ঘটনার তদন্ত করবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে গত ১৮ জুলাই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য এই কমিশন করা হয়েছে। ছয়জন নিহতের কারণ উদঘাটন ও তাদের নিহতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় নিহতের কারণ উদঘাটন ও তাদের নিহতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে তদন্ত কমিশন গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও করপোরেশন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে বলেও সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ১৬ জুলাই ৬ জন নিহতের ঘটনা তদন্ত করবে কমিশন বাংলাদেশে হত্যা-সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার।

কমিশনকে ‘দ্য কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুযায়ী তদন্তকাজ সম্পন্ন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে দাখিল করতে বলা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, কর্মপরিধি বেড়ে যাওয়ায় তদন্ত কমিশনের সদস্য সংখ্যা একজন থেকে বাড়িয়ে তিনজন করা হতে পারে।

Advertisement

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাইয়ের পরও সারাদেশে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাবে এতে দেড়শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে বেসরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক।

আরএমএম/ইএ/জেআইএম