অর্থনীতি

৪৯৮ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার এবং সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এসব সার কিনতে ব্যয় হবে ৪৯৮ কোটি ৭ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা।

Advertisement

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এসব সার কেনার অনুমোদ দিয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জনা গেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। মন্ত্রিসভা কমিটি আলোচনা করে ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় এই ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদ দিয়েছে। প্রতি মেট্রিকন টন ফসফরিক এসিডের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭০ মার্কিন ডলার।

Advertisement

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমছে বাজার তদারকিতে নেমেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩৭ দল ক্ষতি পোষাতে ফ্রিল্যান্সারদের নগদ প্রণোদনা বাড়ানো হবে: পলক

চট্টগ্রামের টিএসপিসিএল-এর জন্য এই ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানি করা হবে। টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে।

দরপত্রের ২টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন, ঢাকা এই ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড সরবরাহ করবে।

এদিকে সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এই সার আমদানি করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৫০ মার্কিন ডলার।

Advertisement

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার কেনা সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। দুটি প্রস্তাবই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে একটি হলো রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া আমদানি। এই সার আমদানি করতে মোট খরচ হবে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৪৩.১৭ মার্কিন ডলার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩০.৫০ মার্কিন ডলার।

এমএএস/ইএ/জেআইএম