কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে রাজধানীর বনশ্রীতে নিহত হন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া। এরপর তাকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কালান্দর গ্রামে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
Advertisement
দাফনের ১০ দিন পর মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়। নিহত মাসুদ নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ উত্তোলনের সময় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
Advertisement
নিহত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা নারায়ণগঞ্জে পিবিআই কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়। এরপর তার স্বামী বনশ্রী এলাকায় বাসায় চলে আসেন। ১৯ জুলাই মাগরিবের নামাজের পর তিনি বাসা থেকে বের হন। পরে স্বামীর মুঠোফোন থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তির জানান, তার স্বামী রাস্তায় হামলার শিকার হয়েছেন।
মেরিনা বলেন, আহত অবস্থায় তার স্বামীকে সড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মেরিনা।মঞ্জুরুল ইসলাম
Advertisement