জাতীয়

২১ জুলাই পর্যন্ত হত্যা বিবেচনায় নিতে পারবে তদন্ত কমিশন

হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠন করা তদন্ত কমিশন আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় হত্যার ঘটনাগুলো বিবেচনায় নিতে পারবে। একই সঙ্গে কমিশনের আকার বেড়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক শেষে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

এর আগে গত ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তাকে ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

পরবর্তীতে তো আরও অনেক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তদন্ত কমিশন সেগুলো বিবেচনায় নেবে কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তদন্ত কমিশনের টিওআর বা কর্মপরিধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন চলে গেছে। গত ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা হয়েছে উনারা সেটা (বিবেচনা) করতে পারেন।

Advertisement

আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এর কর্মপরিধি এবং এর অনুসন্ধান এবং তদন্তের পরিসর যেহেতু বেড়ে গেছে। কিন্তু তদন্ত কমিশনের সদস্য একজন। তাই আমরা সেটা বাড়িয়ে তিনজন করার সিদ্ধান্ত খুব শিগগির নিতে পারি।

গত ১৮ জুলাই তদন্ত কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে এ কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কমিশন ওই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ৬ জন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ এবং সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে হলেও প্রজ্ঞাপনের জানানো হয়েছে।

আরএমএম/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement