সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, সত্যের জয় হয়েছে। এবার আমরাই জিতবো। কিছু ক্ষয়ক্ষতি হবে কিছু লস হবে। বিন্দু পরিমাণ টেনশন করবেন না। শেখ হাসিনাকে এক চুল পরিমাণ নড়ানোর ক্ষমতা ওদের বাবারও নেই। শুধু আমরা যেন প্রস্তুত থাকি।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানো হবে। এই চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে না হলে মমতা ব্যানার্জী বলে না বাংলার দরজা খোলা আছে। তোমরা নক করলেই আমরা রিফিউজিদের আশ্রয় দেবো। ফ্রান্সে বসে বলে না নির্বাচন দিতে হবে ইউনূসের মতো সুদখোরেরা। সব শক্তি এক হয়েছে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। বড় বড় শক্তি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত-শিবিরকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হবে। এটা আরও আগেই করা উচিত ছিল। তাহলে আজ এ অবস্থা আমাদের দেখতে হয় না। ওরা মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে নিশ্চিত থাকেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন, ছিলেন, ক্ষমতায় থাকবেন। দয়া করে কেউ ফাঁকিবাজি করবেন না। যার যার এলাকা, যার যার অলি-গলি পাহারায় বসতে হবে। যাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বের হতে না পারে।’
Advertisement
‘আজকের রাত স্বাভাবিক না’ মন্তব্য করে এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি আবার বলছি, আজকের রাত স্বাভাবিক না। সুতরাং যার যার এলাকায় সবাই প্রস্তুত থাকবেন। মরার জন্য প্রস্তুত থাকবে না। এরইমধ্যে আমরা আক্রান্ত হয়েছি। আমরা কিন্তু আঘাত করি নাই। ওরা আমাদের আঘাত করেছে, আমাদের আক্রান্ত করেছে। ওই শক্তি শুধু জামায়াত-বিএনপি-শিবির না; ডক্টর (ড. ইউনূস) সাহেব থেকে শুরু করে অনেকেই রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের সাধারণ ছাত্রদের কাঁধে বন্দুক দিয়ে এই গেম খেলছে। সাধারণ ছাত্ররা না থাকলে তাদের মোকাবিলা করা আমাদের জন্য এক ঘণ্টার ব্যাপার। সাধারণ ছাত্রদের বোঝান তোমার ভবিষ্যৎ শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এএসএম
Advertisement