এবার এক রাতেই সিরিয়ার দুটি বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) যুদ্ধবিষয়ক একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। গত শনিবার (২৭ জুলাই) ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান উপত্যকায় রকেট হামলার পর দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে গেছে।খবর এএফপির।
Advertisement
ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, সিরিয়ার দারা প্রদেশে দুটি বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গোলান মালভূমিকে সিরিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ওই এলাকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে গোলানে ইসরায়েল অধিকৃত এলাকা এবং সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা বাকি ভূখণ্ডকে আলাদা করে রেখেছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণাধীন বাফার জোন (নিরপেক্ষ অঞ্চল)।
এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে এক রাতেই হিজবুল্লাহর প্রায় ১০টি টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। এতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
Advertisement
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্র সংক্ষণকেন্দ্র, সন্ত্রাসী অবকাঠামো, সামরিক অবকাঠামো এবং একটি রকেট লঞ্চার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী এবং লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠনের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পারতে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার (২৭ জুলাই) ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান উপত্যকায় একটি রকেট হামলায় শিশুসহ ১২ জন নিহত হন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি দখলকৃত এলাকায় এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ। গোলান মালভূমির মাজদাল শামস নামের একটি গ্রামে একটি ফুটবল মাঠে চালানো ওই রকেট হামলায় আরও অন্তত ২৯ জন আহত হন। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর চার সদস্য নিহত হওয়ার পর এই হামলা চালানো হয়।
সে কারণে এই হামলার জন্য হিজবুল্লাহকেই দায়ী করে আসছে ইসরায়েল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠী।
Advertisement
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, মাজদাল শামসে করা হামলায় শত্রুপক্ষের কিছু সংবাদমাধ্যম আমাদেরকে অভিযুক্ত করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখান করছি। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের সশস্ত্র শাখা ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন টার্গেটে ইসরায়েলের পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই উত্তেজনার জের ধরে যেকোনো সময় দু’পক্ষের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গোলান উপত্যকায় হামলার জবাব দেওয়ার ব্যাপারে গত রোববারই অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। এর মধ্যেই আবার সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালো ইসরায়েল।
টিটিএন