জাগো জবস

চাকরির ভাইভায় যেসব ভুল করা যাবে না

শিক্ষাজীবনে দারুণ ফলাফল আপনার। ক্যাম্পাসের টপারও ছিলেন। চোখ-কান বুজে শুধু পড়াশোনাই করে গেলেন। ভাবলেন, পাস করলেই চাকরিটা নিশ্চিত। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে হাজির হলেন ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি। সেখানেই বাঁধলো বিপত্তি। ভাইভার পর জানলেন চাকরি হচ্ছে না আপনার। কিন্তু কারণ কী? নিচের বিষয়গুলো তাই একটু খেয়াল করুন। এমন অভ্যাস নেই তো?

Advertisement

চাকরির ভাইভার সময় অনেক প্রার্থী কিছু মারাত্মক ভুল করে থাকেন। ফলে ভাইভা বোর্ডে থাকা ব্যক্তিরা ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৯১ ভাগ ক্ষেত্রে বুঝে নিতে পারেন, এই প্রার্থী যোগ্য কি না। প্রার্থীর কিছু আচরণের কারণে তিনি ওই পদের জন্য উপযুক্ত কি না, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই নিজেকে উপযুক্ত করার প্রশিক্ষণটা ছাত্রজীবনেই নিতে হয়।

দেখা যায়, ভাইভা বোর্ডে গিয়ে অনেকে টেবিলের ওপরে এটা-সেটা নাড়াচাড়া করেন। হাতের কাছে কিছু থাকলে সেটি ধরার চেষ্টা করেন। অনেকেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। তার গলা শুকিয়ে আসে। তার এই অপ্রস্তুত ভাব মুখেও প্রকাশ পায়। এছাড়া চোখে-মুখে ভয় ও অহেতুক গাম্ভীর্য দেখা যায়। ফলে তার মুখে হাসি দেখা যায় না।

আরও পড়ুন

Advertisement

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি কেমন হবে?

ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করার পর প্রশ্নকর্তার সঙ্গে করমর্দনেও অনেকের দুর্বলতা আছে। অনেকে আবার খুব জোরে করমর্দন করে থাকেন, যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা না-বলাও সবচেয়ে বড় ভুল বলে বিবেচিত হতে পারে। প্রশ্নকর্তারা মনে করেন, চোখের দিকে না তাকানোটা সবচেয়ে বড় ভুল।

কারো কারো বসে থাকার মধ্যেও অস্থিরতা দেখা দেয়। কারণ ছাড়াই অনবরত নড়াচড়া করতে দেখা যায়। এটিও অযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এমনকি প্রশ্নকর্তার সামনে বসে অনেকেই বুকের কাছে হাত ভাঁজ করে রাখেন। সাবলীলভাবে বসতেও পারেন না। এতেও প্রার্থীর অযোগ্যতা প্রমাণিত হয়।

অনেকে আঙুলের সাহায্যে কপালের ওপর থেকে বারবার চুল সরাতে থাকেন। কখনো কখনো মাথায় চুল বড় থাকায় কপালে এসে পড়ে। সেগুলো আবার একটু পর পর হাত দিয়ে সরান। ফলে এমন অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ প্রশ্নকর্তাদেরও বিব্রত করে। এগুলোকে মুদ্রাদোষ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুন

Advertisement

ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরামর্শ

সবেচেয়ে বড় কথা হলো, ভাইভা বোর্ডে আপনি প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিলেন, তার ওপর সবটুকু নির্ভর করে না। সব প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক দিয়েও আচরণ বা অঙ্গভঙ্গির কারণে চাকরিটা কিন্তু হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলে আপনার ভাবভঙ্গি কেমন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প্রশ্নকর্তারা বাচনভঙ্গির বাইরেও অন্য লক্ষণ দেখে যোগ্যতা বুঝে নিতে চান। তাই ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার আগে এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

এসইউ/এএসএম