মাছ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে খুলনার পরিচিতি রয়েছে। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ জেলা থেকে ৬৭৭ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি কমেছে।
Advertisement
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপনের আগে সোমবার দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়বেদ পাল এ তথ্য জানান। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা হয়।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে ২ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার মাছ ও মাছজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি হয়। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছ রপ্তানি আয় ছিল ২ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১৬ হাজার টন খুলনার চিংড়ি রপ্তানি হয়। যাতে আয় হয় ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। আর অন্যান্য মাছ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টন, রপ্তানি আয় ছিল ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
Advertisement
সভায় আরও জানানো হয়, খুলনা জেলায় ২৬ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে মোট মাছের উৎপাদন এক লাখ ২৫ হাজার টন। মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের চাহিদা ৫০ গ্রাম। মোট মাছের চাহিদা ৫৭ হাজার টন। সেক্ষেত্রে খুলনায় মাছ উদ্বৃত্ত থেকে যায় ৬৮ টনের অধিক।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, মাছ চাষ করতে গিয়ে অন্য চাষাবাদের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া মৎস্য সম্পদের অধিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে মান যেন বজায় থাকে সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ জুলাই থেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হবে। এবার মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/জেডএইচ