‘দ্য কনভেনশন অন অ্যাবোলিশিং দ্য রিকোয়ারমেন্ট অব লিগালাইজেশন অব ফরেন পাবলিক ডকুমেন্ট’ বা অ্যাপোস্টিল কনভেনশনে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করা ডকুমেন্ট আর অন্য দেশে পুনরায় সত্যায়ন করা লাগবে না। ফলে প্রতি বছর বিদেশগামী বাংলাদেশিদের আনুমানিক ৫০০-৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
Advertisement
দ্য হেগ শহরে স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে এপোস্টিল কনভেনশনে যুক্ত হয় বাংলাদেশ।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশের পক্ষে ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব একসেশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. হাছানকে স্বাগত জানান নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল।
Advertisement
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে বিদেশগামী ছাত্রছাত্রী, পেশাজীবী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিদেশে ভর্তি ও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব পাবলিক ডকুমেন্ট সনাতন পদ্ধতিতে সত্যায়িত করতে হতো, তা এখন থেকে দ্রুত, সহজ ও সুলভভাবে করতে পারবে।
এই কনভেনশনে যোগদান বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং এতে দেশের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এর ফলে ই-এপিপি বা ইলেকট্রনিক এপোস্টিল প্রোগ্রাম পদ্ধতিতে সত্যায়ন করে ইলেকট্রনিক এপোস্টিল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে। যার সত্যতা ও সঠিকতা সার্টিফিকেটে বিদ্যমান কিউআর কোড দিয়ে বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে যাচাই করা যাবে। এতে বিদেশগামী ছাত্রছাত্রী এবং পেশাজীবীদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তি সম্পূর্ণ লাঘব হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা এপোস্টিল সার্টিফিকেট ব্যবহার করলে বিদেশি দূতাবাস বা বিদেশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিদেশি অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সত্যায়নের জন্য শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এতে প্রতি বছর বিদেশগামী বাংলাদেশিদের আনুমানিক ৫০০-৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
Advertisement
বর্তমানে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, চাকরির আবেদন, বিদেশে স্থায়ী হওয়া, বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বিয়েসহ নানা প্রয়োজনে বিদেশগামী ও বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের বিভিন্ন দলিলাদি, যেমন- একাডেমিক সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন সনদ, বৈবাহিক সার্টিফিকেট ইত্যাদি একাধিক কর্তৃপক্ষের সত্যায়নের প্রয়োজন হয়। দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়নসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন শেষে সেবা প্রার্থীরা পুনরায় বিদেশি দূতাবাস, সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে সত্যায়নের জন্য উপস্থিত হতে হয়। যা সময়সাপেক্ষ, শ্রমসাধ্য এবং ব্যয়বহুল।
আইএইচআর/জেডএইচ/