বরিশাল জেলাসহ মহানগরীতে ১৬ ঘণ্টা কারফিউ শিথিলে জনজীবনে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এর আগে ২০ জুলাই থেকে কারফিউ চললেও কয়েক ঘণ্টা শিথিল করায় এক প্রকার ঘরবন্দি ছিল সাধারণ মানুষ।
Advertisement
নগরীর বাংলাবাজার এলাকার মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক শফিক আহমেদ বলেন, কয়েকদিন কারফিউ থাকায় ব্যবসায় অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ৫-৬ জন কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়েছে। এখন ১৬ ঘন্টা কারফিউ শিথিল করায় রাস্তায়ও যেমন লোকজন বেড়েছে, তেমনি বেচাকেনাও বেড়েছে।
মুদি ব্যবসায়ী মোস্তফা জামান বলেন, কারফিউ চলাকালীন দোকান খুলতে না পারায় অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে বেকারির পণ্য বেশি নষ্ট হয়েছে। এখন ১৬ ঘন্টা কারফিউ শিথিল করায় বেচাবিক্রি করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। তবে রাত ১০টার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বহাল থাকবে।
Advertisement
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, রোববার (২৮ জুলাই) নগরীতে ১৬ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল। তবে রাত ১০টার পর থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে। কারফিউ শিথিল থাকাকালীন শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের গণজমায়েত, মিছিল ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শাওন খান/এসআর/এএসএম