এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসময় নতুন করে আরও দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৫ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৪ জন, চট্টগ্রামে ১৩৫ এবং খুলনা বিভাগে ১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট পাঁচ হাজার ৭৬৮ জন। যাদের মধ্যে ৬১ শতাংশ পুরুষ এবং নারী ৩৯ শতাংশ। এসময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৯ জন।
Advertisement
১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত মৃত ৫৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রতিবছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরমধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Advertisement
২০২০ সালে করোনা মহামারীকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/এমএইচআর/এএসএম