সোশ্যাল মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি

দেশে তারুণ্যের সঙ্গে শক্তি হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের এই যুগে ভার্চুয়ালি যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম)। এর মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স (টুইটার), লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয়। এগুলো এখন নিত্যদিনের ব্যবহৃত যোগাযোগমাধ্যম।

Advertisement

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ জুলাই শেষে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৩ কোটি ১ লাখে। যদিও এ হিসাবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ব্যবহার করলেই কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন। একজন একাধিক সিম বা মুঠোফোন ব্যবহার করলে তাকে একাধিক ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফলে বলাই বাহুল্য, বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো অবিশ্বাস্যভাবে জনপ্রিয়। এই মাধ্যম তরুণদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করার সবচেয়ে বড় উপায়গুলোর মধ্যে একটি। নানাবিধ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এই মাধ্যমে। সংগত কারণেই উপকারিতার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও ফেলে।

আরও পড়ুন

Advertisement

পৌলমী বাবা ডাকবে কাকে! আল মাহমুদ এক জাজ্বল্যমান ইতিহাস

সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাবিধ তথ্য শেয়ার করা যায়। এতে অনেকেরই উপকার হতে পারে। আবার ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, কাগজপত্র, নথি, দলিল-দস্তাবেজ, পাসওয়ার্ড কিংবা স্বাক্ষরও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়। এর ফলে আপনার অনুপস্থিতে কিংবা সরলতার সুযোগ নিয়ে বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার বেশি ব্যবহার উদ্বেগ, বিষণ্ণতার পাশাপাশি তরুণ দেহ-মনে অলসতা সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া সাইবার অপরাধ বা বুলিংয়ের মতো সমস্যা তৈরি করছে, যা বিশেষ করে তরুণদের অপরাধ জগতে প্রবেশ করতে সাহায্য করছে।

এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশের তরুণদের জীবন উন্নত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। তাই তারা যেন কোনোভাবেই অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়। সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হন। সর্বোপরি সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা যে তথ্য শেয়ার করেন; সে সম্পর্কেও সচেতন হওয়া বিশেষ জরুরি।

এসইউ/এমএস

Advertisement