অর্থনীতি

ব্যাংকে বেড়েছে গ্রাহক, জমার চেয়ে টাকা তুলছেন বেশি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার পর কারফিউ কিছুটা শিথিল করায় বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয় সরকারি অফিস। বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে অফিস কার্যক্রম।

Advertisement

রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এ তিন দিন ব্যাংকগুলোর লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

রোববার সপ্তাহের শুরুর দিনই ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি বেড়েছে। সকাল থেকেই স্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে ব্যাংকে। তবে গত কয়েক দিনের মতো ব্যাংকের শাখায় জমার চেয়ে টাকা তোলার হারই বেশি। রোববার মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এ চিত্রই দেখা যায়।

এদিন বেলা ১১টার দিকে টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে নিজ পরিবারসহ অপেক্ষা করছিলেন মাহাদি। তিনি বলেন, বাসার জরুরি কাজের জন্য কিছু নগদ টাকার প্রয়োজন। ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখায় গিয়েছিলাম। তবে সেখানে টাকা না পেয়ে লোকাল শাখায় এসে টাকা তোলার জন্য অপেক্ষা করছি।

Advertisement

আরও পড়ুন>>>আজ থেকে সরকারি অফিস ৯টা-৩টা

আসিফ ইকবাল এসেছেন টাকা তুলতে। তিনি বলেন, জানি না কখন আবার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে কিছু বাড়তি টাকা হাতে রাখতেই আজ টাকা তুলতে এসেছি। পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে এখনো বোঝার উপায় নেই। সবার মাঝেই একটা আতঙ্ক কাজ করছে বলে জানান তিনি।

দিলকুশা ইসলামী ব্যাংকের শাখায় এসেছেন তারিক। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের আন্দোলনের মুহূর্তে ব্যাংকের এটিএম বুথেও টাকা পাইনি। যা হাতে ছিল সব খরচ করেছি। সপ্তাহের এই তিন দিন অফিস খুলবে, পরে যদি আবার না খোলে। এ কারণে আজ একটু ফ্রি ছিলাম তাই ব্যাংকে এলাম টাকা তুলতে।

সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, সপ্তাহের প্রথম দিনে অনেকের টাকার প্রয়োজন হয়। মাঝে দুদিন (শুক্র-শনিবার) বন্ধ থাকায় এমনটা হয়ে থাকে।

এর আগে শনিবার জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে। ব্যাংক, বিমা ও আদালত তাদের মতো করে সময় নির্ধারণ করবে। মঙ্গলবারের পর কারফিউয়ের সময় অনুযায়ী অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।

Advertisement

ইএআর/এসআইটি/জেআইএম