কুয়েত আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারী অর্থাৎ অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলছে। সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তারক্ষী সংস্থাগুলো রাজধানী কুয়েত সিটির আরও দুটি এলাকায় এ অভিযান চালিয়েছে। সেসময় বহুসংখ্যক অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
কুয়েত সিটির গভর্নর আব্দুল্লাহ সালেম জানিয়েছেন, এই অভিযানে উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আকস্মিক এই অভিযান আমাদের নিরাপত্তাবিষয়ক তদারকির একটি অংশ।
তিনি আরও জানান, একইভাবে অভিযান চালানো হয়েছে কুয়েত সিটির দক্ষিণাঞ্চল আল ফাওয়ারনিয়াতেও। সেখানেও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিতাড়িত ব্যক্তিরা আজীবন কুয়েতে ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) অন্য দেশগুলোতে পাঁচ বছরের জন্য প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ভোগ করবেন। তবে ঠিক কতজনের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি নির্দিষ্ট করে জানায়নি দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
এ বছরের মার্চে কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। এসময়ের মধ্যে কোনো অভিযান ও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এই সময়েও যারা বৈধ হতে পারেননি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে দেশটি। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব প্রবাসী যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরও নিজেদের কাগজপত্র বৈধ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযান চলতেই থাকবে।
এমনকি, ওই তিন মাসে অবৈধ অভিবাসীদের কোনো ধরনের জেল-জরিমানা ছাড়া নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগও দিয়েছিল কুয়েত সরকার। যারা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কুয়েত ছেড়েছেন, তারা চাইলে বৈধ উপায়ে আবারও দেশটিতে যেতে পারবেন। কিন্তু এখন গ্রেফতার হওয়া প্রবাসীরা আর দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না।
কুয়েতে সব মিলিয়ে ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস, যার মধ্যে ৩৩ লাখই বিদেশি। দেশটি প্রবাসী নির্ভর হলেও সম্প্রতি তারা অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।
সূত্র: গালফ নিউজ
Advertisement
এসএএইচ