খেলাধুলা

রুট-স্মিথ-ওকসের প্রতিরোধে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়িয়ে গেল ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের তোপে ৫৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ইংলিশরা তখনও পিছিয়ে ২২৮ রান। তখন মনে হয়েছিল প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের করা ২৮২ রানও টপকাতে পারবে না ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দারুণ চমকই দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্যারিবীয় বোলারদের তোপের মুখে প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন জো রুট ও বেন স্টোকস।

Advertisement

এরপর রুট-জেমি স্মিথ ও ক্রিস ওকস-স্মিথ জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেললো ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইংলিশরা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৩৭৬ রানে। এতে শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার পর ৯৪ রানের লিডও পেয়েছে ইংলিশরা।

এজবাস্টনে ২৯ রানে জাক ক্রাউলির উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ২৫ রান নিতেই আর ৪ উইকেট নেই ইংলিশদের। ক্যারিবীয় বোলারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি বেন ডাকেট (১২ বলে ৩), মার্ক উড (৮ বলে ০), অলি পোপ (২০ বলে ১০) ও হ্যারি ব্রুক (৩ বলে ২)।

৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড যখন চরম বিপদে তখন ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন রুট ও স্টোকস। ১৪২ বলে ১১৫ রানের জুটি করে দলের অবস্থান শক্ত করে দেন তারা। ৫ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৬৯ বলে ৫৪ রান করা স্টোকসকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন আলজারি জোসেফ।

Advertisement

এরপর জেমি স্মিথকে নিয়ে আরও একটি জুটি করেন রুট। এই জুটিতে আসে ৭৮ বলে ৬২ রান। রুটকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গুদাকেশ মতি। ১২৪ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেন রুট। কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে পেছনে ফেলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রানতোলায় সপ্তম স্থানে উঠে আসেন এই ইংলিশ ব্যাটার।

একইসঙ্গে অ্যালিস্টার কুকের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১২ হাজার রানের ঘরে প্রবেশ করেন রুট। বর্তমানে রুটের রান ১২ হাজার ২৭।

এরপর ক্রিস ওকসকে নিয়ে ১০৬ রানের (১২৭ বলে) আরও একটি জুটি করেন স্মিথ। তবে দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পুড়তে হয় স্মিথকে। ৯৫ রানের (১০৯ বলে) তাকে বোল্ড করে দেন ক্যারিবীয় পেসার শামার জোসেফ। ওকস ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৭৮ বলে ৬২ রান।

এমএইচ/জেআইএম

Advertisement