পঞ্চগড়ে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরেছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে যানচলাচল।
Advertisement
শনিবার (২৭ জুলাই) জেলায় ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। রোববার (২৮ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করে জেলা প্রশাসন।
এর আগে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে একাধিক চেকপোস্ট তুলে নেওয়া হয়। বর্তমানে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস। তবে বন্ধ রয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারফিউ চলাকালীন জেলা শহরে সপ্তাহজুড়েই সন্ধ্যার আগে দোকানপাট বন্ধ ছিল। এসময়ে শহরতলির ছোট হাট-বাজারগুলো জমে ওঠে। জেলা শহরে সেনাবাহিনীর টহল চললেও শহরের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন টহল ছিল না। জেলা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট- বাজারে গভীর রাত পর্যন্ত চলতো বেচাকেনা। তবে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করায় স্বস্তি ফেরে জেলা শহরেও।
Advertisement
সদর ইউনিয়নের মাহানপাড়া এলাকার রিকশাচালক মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘৪-৫ দিন বাড়ি থেকে বের হইনি। দুদিন ধরে রিকশা নিয়ে বের হলেও যাত্রী ছিল না। তবে গতকাল থেকে মানুষের চলাচল বেড়েছে। ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হচ্ছে বলে মনে হয়।’
এদিকে পঞ্চগড় সদর থানায় নাশকতার তিন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, নাশকতার ঘটনায় সবশেষ তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন প্রায় স্বাভাবিক। ঘরের বাইরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। সব ধরনের যানবাহনও শুরু হয়েছে।
Advertisement
সফিকুল আলম/এসআর/এমএস