দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় পর্যটনশিল্পে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি

দেশব্যাপী কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে মুখ থুবড়ে পড়েছে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প। গত ১৭ জুলাই (বুধবার) থেকে পর্যটক আসা বন্ধ রয়েছে এ সৈকতে। বাতিল হয়েছে আগাম বুকিং। এতে দুইশোর বেশি আবাসিক হোটেলসহ ১৬ পেশার পাঁচ হাজার শ্রমিক বেকার দিন কাটাচ্ছেন। কোটি টাকার ক্ষতি গুনছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার। তিনি জানান, এখানে থেমে নয় স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। যা পর্যটন শিল্পের জন্য বড় ক্ষতি বয়ে আনবে।

হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর গত ১০ দিনে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে থাকা এক হাজার পাঁচশত শ্রমিক বেকার সময় কাটাচ্ছে। একদিকে হোটেলে পর্যটক শূন্য অন্যদিকে স্টাফদের বেতন বাতা দিতে হয়। এরকম আর কতদিন মালিকরা বেতন দিবেন সেটা একটা বড় চিন্তার বিষয়।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, পর্যটকদের সেবা দিতে আমাদের গাইডরা সবসময় প্রস্তুত। কিন্তু গত কয়েকদিনে সব সেক্টরের গাইডরা বসে রয়েছে। পাশাপাশি পর্যটক সেবায় রয়েছে রেস্তোরাঁ, নানান পরিবহন, শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, ইজিবাইক, ঘোড়া, ফটোগ্রাফার ও ভাসমান হকারসহ ভিন্ন রকম ব্যবসা। চলমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে প্রত্যেক শ্রমিকের অবস্থা আরও খারাপ হবে।

Advertisement

হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, পর্যটক থাকুক আর না থাকুক কর্মচারীদের বেতন-বাতা দিতে হয়। প্রতিটি হোটেল কর্তৃপক্ষ এখন একপ্রকার নাজেহাল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। প্রতিদিন কি পরিমাণ লোকসান গুনছি সেটা টাকার হিসাবে অনেক। তবে এভাবে কতদিন লোকসান দিয়ে শ্রমিক ধরে রাখতে পারবো সেটা ভাববার বিষয়। এভাবে আর কিছুদিন চললে পর্যটন ব্যবসায় পুরোপুরি ধস নামবে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, হঠাৎ দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে কুয়াকাটায় আটকা পড়েন পর্যটকরা। জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মঙ্গলবার তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কুয়াকাটা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। আশা করছি শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস

Advertisement