জাপানের উত্তরাঞ্চলের বেশকিছু এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন সেতু ও গাড়ি ভেসে গেছে।
Advertisement
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশটির কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
জাপানের হোনশু দ্বীপের ইয়ামাগাতা এবং আকিতা অঞ্চলে ভারী বর্ষণে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
পুলিশ এএফপিকে জানায়, ইউজাওয়া শহরে রাস্তার কাজ চলার সময় ভূমিধসের ঘটনায় ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মাটির নিচে চাপা পড়েন। এদিকে ৮৬ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে সর্বশেষ আকিতা নগরীর একটি নদীর তীরে দেখা গিয়েছিল।
Advertisement
এদিকে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আকিতা নগরীতে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ইয়ামাগাতায় স্থানীয় এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। ইয়ামাগাতায় দুটি নদীতে ভাঙনের ফলে সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করা হচ্ছে।
জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানায়, ১৯৭৬ সালের পর ইয়ামাগাতা অঞ্চলের দুটি এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শিনজোতে ৩৮৯ মিলিমিটার (১৫ ইঞ্চি) এবং সাকাতায় ২৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ভিডিও ফুটেজে বন্যার পানিতে পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভেসে যেতে দেখা যায়। দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, কর্তৃপক্ষ দুই লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে জানায়, এ দুর্যোগে কমপক্ষে চার হাজার মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
খবরে বলা হয়, ভারী বর্ষণের কারণে প্রায় তিন হাজার ৬০টি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ইয়ামাগাতা অঞ্চলের সাকাতা এবং ইউজাওয়ায় এ সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতে সর্বোচ্চ জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।
ইএ