খেলাধুলা

অলিম্পিকে খেলার জন্য আঙুল কাটবেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা

প্যারিস অলিম্পিকের খেলার জন্য আঙুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এক হকি তারকা। নিজের ক্যারিয়ারের শেষ অলিম্পিক হতে পারে এবারের আসর, এমন আশঙ্কায় নিজের শরীরের অঙ্গ জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত ম্যাট ডাউসন নামের এই ক্রীড়াবিদ।

Advertisement

ডাউসনের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে হতবাক হয়ে গেছেন তার কোচ ও সতীর্থরা। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অটল এই ৩০ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান।

দুই সপ্তাহ আগে পার্থে অনুশীলনের সময় ডান হাতের আঙুলে চোট পান ডাউসন। তার চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তিনি যখন যখন ড্রেসিংরুমে নিজের ইনজুরি দেখলেন, তাতে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন। ভাবলেন, অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন বুঝি ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে তার।

ডাউসনের ইনজুরি পর্যবেক্ষণ করে ডাক্তার জানিয়েছেন, আঙুলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। চোট থেকে সেরে উঠতে সময় লাগবে কয়েক মাস। ততক্ষণে অলিম্পিকের পদক নিয়ে সবাই বাড়িও চলে যাবে। আবার অস্ত্রোপচার করলেও আঙুল পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে না।

Advertisement

চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অবগত হয়েই কঠিনতর এই সিদ্ধান্তটি নিচ্ছেন ডাউসন। এই ক্রীড়াবিদকে জানানো হয়েছে, যদি তিনি আঙুলটি কেটে ফেলেন, তাহলে ১০ দিনের মধ্যে তিনি খেলতে পারবেন।

ডাউসনকে আঙুল না কাটার কথা বলেছিলেন স্ত্রী। তাতেও কর্ণপাত করেননি তিনি। আগামীকাল শনিবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও নিজ দল কুকাবুরাসের হয়ে খেলবেন তিনি।

ডাউসেন বলেন, ‘আমি অবশ্যই ক্যারিয়ারের শেষের দিকে রয়েছি এবং কে জানে এটিই আমার শেষ (অলিম্পিক) হতে পারে। যদি আমি মনে করি, এখনও সেরা পারফর্ম করতে পারবো, তাহলে আমি এটাই করতে যাচ্ছিলাম। আমার আঙুলের উপরের অংশটি নেওয়ার মূল্য যদি আমাকে দিতে হয় তবে আমি এটাই করতাম।’

কুকাবুরাসের অধিনায়ক অ্যারান জেলেস্কি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা ডাউসনকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন।

Advertisement

এবারই প্রথম বড় রকমের ইনজুরি হয়েছেন ডাউসন, বিষয়টি মোটেও এমন নয়। এর আগে ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে প্রতিপক্ষ দলের হকির লাঠির আঘাতে চোখ হারাতে বসেছিলেন তিনি। সেবার মারাত্মক ইনজুরি হওয়ার পরও খেলেছেন ডাউসন। শেষ পর্যন্ত আত্মউৎসর্গের প্রতিদান হিসেবে সেই আসরে গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন তিনি। এরপর টোকিও অলিম্পিকে সিলভার মেডেল জিতেছে তারা।

এমএইচ/এমএস