জাতীয়

ক্রেতা সংকটে মিরপুরের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গেলো কিছুদিন ধরে সহিংসতার জেরে জারি রয়েছে কারফিউ। তবে রাজধানীতে প্রতিদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে শিথিল থাকছে কারফিউ। তারপরও ব্যবসা-বাণিজ্য জমে উঠছে না। ক্রেতা সংকটে ভুগছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

কারফিউ শিথিল করা হলেও রাজধানীর মিরপুরের ১০, ২, ১ ও ১৩ নম্বর সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতে বিক্রিই শুরু হয়নি, বলছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

ফুটপাতের অধিকাংশ ব্যবসায়ী সহিংসতার সময় মালামাল লুটপাটের অভিযোগও করেছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) মিরপুরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এসময় বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে দোকান গোছাতে দেখা গেছে। ফুটপাতে ক্রেতার সংখ্যা ছিল একেবারেই কম।

Advertisement

১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল চোখে পড়ে সকাল থেকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৭ জুলাই থেকে তারা ফুটপাতে বসতে পারছেন না। আর ১৮ ও ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বরে তুমুল সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে। টানা এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে ফুটপাতে বসছেন তারা। অনেকেই ফুটপাতে দোকান বসাতে পারেননি নিরাপত্তাজনিত কারণে।

তারা বলছেন, বিক্রি একেবারেই কম। দুদিনে কেউ কেউ ১০০-২০০ টাকার জিনিসও বিক্রি করতে পারেনি। ফলে পুঁজি ভেঙে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের।

আরও পড়ুন:

Advertisement

সংঘাতের চিহ্ন বুকে শান্ত যাত্রাবাড়ী ক্রেতাশূন্য নিউমার্কেট, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা বিটিভি-মেট্রোরেলে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে সহযোগিতা করুন

মিরপুর ১০ নম্বরে শাহ আলী মার্কেটের নিচে কথা হয় ব্যাগ বিক্রেতা আরমানের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, গতকাল সকালে দোকান খুলেছি। ২০০ টাকার একটা ব্যাগ বিক্রি করেছি। এরপর থেকে দোকানে কোনো বিক্রি নাই। সন্ধ্যা নামার আগেই দোকান বন্ধ করে দিতে হয়।

আন্দোলনে ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এই বিক্রেতা বলেন, গত ১৭ জুলাই থেকে বন্ধ। এর মধ্যে কে বা কারা লাইটসহ কিছু মালামাল নিয়ে গেছে।

রবিউল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, গত রোববার এসে দেখি দোকানের কোন মালামাল নেই। দোকানে ৫০ হাজার টাকার বাচ্চাদের জামা-কাপড় ছিল, চৌকি ছিল, সব নিয়ে গেছে। কে নিয়েছে, কবে নিয়েছে কিছুই জানি না।

আইডিয়াল স্কুলের বিপরীতে হরেক রকম জুতা নিয়ে বসেন শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, মালামাল গোছাচ্ছি। এখন কোনো বিক্রি নাই। দোকান পাহারা দিতে এসেছি। দুই দিনে কিছু বিক্রি করতে পারি নাই।

আরেক বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ফুটপাতে ব্যবসা করি। এমন আন্দোলন দেখি নাই। ৯ দিন দোকান বন্ধ রাখতে হলো। বড় বড় ব্যবসায়ীরা তো সরকারের সুবিধা পায়, আমরা কিছু পাই না।

এসএম/এসএনআর/এএসএম