দেশজুড়ে

স্বস্তি ফিরছে সবজিতে, পেঁয়াজ-মরিচের দাম চড়া

রংপুরে টানা অতিবৃষ্টি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সবজির বাজার ছিল উত্তপ্ত। সেই চিত্র স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম এখনো চড়া। টমেটো ও গাজরের দামও আকাশচুম্বি।

Advertisement

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পটোল ৩৫-৪০, বরবটি ৬০-৭০, শসা ৪০-৫০, পেঁপে ৩৫-৪০, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০, ঝিঙে ৫০-৬০, চিকন বেগুন ৪০-৫০, গোল বেগুন ৭০-৮০, কাকরোল ৫০-৬০, করলা ৭০-৮০, লাউ (আকারভেদে) ৪০-৬০, কাঁচ কলার হালি ৩০-৩৫, কচুর লতি ৪৫-৫০, কচুর মুখি ৫০-৬০, চালকুমড়া ৫০-৬০, ধনেপাতা ১৮০-২০০, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০, লেবু প্রতিহালি ৮-১০, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজি।

বাজারে ৫-৬ দিন আগের তুলনায় কাঁচা মরিচের দাম কমলেও এখনোও তা অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা। সেইসঙ্গে আদার ঝাঁজও কমেনি। এককেজি আদার দাম পড়ছে ৩২০-৩৫০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিহালি পোলট্রি মুরগির ডিম ৪৬-৪৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং রসুন ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কার্ডিনাল আলু ৫০-৫৫ টাকা, শিল আলু ৬৫-৭০ টাকা, ঝাউ আলু ৬৫-৭০ টাকা এবং দেশি সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি।

Advertisement

মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘৫-৬ দিন আগে আন্দোলনের সময় সবজি বাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, এখন তা নেই। সেসময় কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বেশকিছু সবজির দামও কমেছে।’

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৫০-২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালবাগ বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমিন হোসেন বলেন, ‘মুরগির বেচাকেনা কমে গেছে। আগে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যা বিক্রি হতো, এখন তার অর্ধেকও হয় না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে।’ বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০-১৭৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল (চিকন) ১৪০ টাকা, মাঝারি ১১০ টাকা, মুগডাল ১৯০-২০০ টাকা, চিনি ১৩৫-১৪০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল ৫৩-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬২ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকারভেদে রুইমাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপিও ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

জিতু কবীর/এসআর/এএসএম