আন্তর্জাতিক

গাজায় শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবেই গুলি করা হচ্ছে

গাজায় শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবেই গুলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন ৪৫ জন মার্কিন চিকিৎসক এবং নার্সদের একটি গ্রুপ। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে এ বিষয়ে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়। খবর আল জাজিরার। 

Advertisement

চিকিৎসাকর্মীদের ওই চিঠিতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন অব্যহত রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন মুহূর্তেই মার্কিন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে এ ধরনের চিঠি এলো।

ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, সম্ভবত এই সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৯২ হাজারের বেশি হয়েছে। এই সংখ্যা হতবাক করার মতোই কারণ এটা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক চিকিৎসাকর্মী জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনের যেসব শিশুদের চিকিৎসা দিয়েছেন তাদেরকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

তারা লিখেছেন, আমাদের প্রত্যেকেই প্রতিদিন এমন সব শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছি যাদের মাথা এবং বুকে গুলি করা হয়েছে। অল্প সংখ্যক মানুষ বাদে গাজার প্রায় প্রত্যেকেই অসুস্থ, আহত বা দুই ধরনের সমস্যার সঙ্গেই লড়াই করে যাচ্ছে।

Advertisement

এদিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরও রয়েছে। সে আল জাজিরাকে জানিয়েছে যে, হামাস এবং সেখানে জিম্মি করে রাখা লোকজনের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।

প্রায় ৯ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৯ হাজার ১৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯০ হাজার ৪০৩ জন।

টিটিএন

Advertisement