বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা চালায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীদের মারধরসহ ভাঙচুর করা হয় স্টেশনের সিসি ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট সংগ্রহের মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র।
Advertisement
এ ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, দুটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ এবং অন্য মামলাটি করে থানা পুলিশ। এসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২১ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে চারটি মামলায় মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩০০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। মামলাগুলোর এজাহারেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব স্থাপনা মানুষের জীবন সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা? ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রো স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, মানতে পারছি না।
যেসব স্থাপনা মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা? ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রো স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, মানতে পারছি না।- প্রধানমন্ত্রী
Advertisement
পরিদর্শনকালে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মেট্রো স্টেশন ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। একপর্যায়ে স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কেঁদে ফেলেন তিনি এবং হামলাকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটওভার ব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে মেট্রোর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দুর্বৃত্তরা। একই দিন পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুনবিটিভি ভবনে হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত, ক্ষতি ৫০ কোটি টাকারসেতু ভবনে হামলায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিমেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রীমেট্রোরেল চালু হওয়ার বিষয়ে বুধবার (২৪ জুলাই) জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএন সিদ্দিকের। কবে নাগাদ মেট্রোরেল চালু হবে? এমন প্রশ্নে এমএন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু করতে পারবো আমরা এখনই বলতে পারছি না। মেট্রো চালু হওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি।
শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত-শিবিরমেট্রোরেলে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় গত ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন মোবারক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৪২৭/৪৩৫/৪৩৬ ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বাদী এজহারে উল্লেখ করেন। গত ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়।
Advertisement
অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার জন বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ এর অফিস ভবনে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরসহ আগুন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। হামলাকারীরা স্থানীয় জনসাধারণকে মারপিট ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু করতে পারবো আমরা এখনই বলতে পারছি না। মেট্রো চালু হওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি।- ডিএমটিসিএলের এমডি
অজ্ঞাতনামা আসামিরা রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মেট্রোরেল স্টেশনের কলাপসিবল গেট ভাঙচুর করে। তারা সরকারি সম্পত্তি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস ভবন ও আবর্জনা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ভাঙচুরসহ দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে। তাদের প্রতিহত করার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ একত্রিত হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আসামিরা কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের কলাপসিবল গেট ভাঙচুর করে এবং ভেতরে ঢুকে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
মিরপুর-১০ স্টেশনে ভাঙচুর-লুটপাটে ক্ষতি আড়াইশ কোটি টাকাগত ২৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন) ইমান উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আট থেকে নয় হাজার জনকে আসামি করা হয়।
মেট্রোরেলে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা
ওই মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে গত ১৯ জুলাই মিরপুর মডেল থানা এলাকা ও বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় আট-নয় হাজার দুর্বৃত্ত সরকারবিরোধী ও আন্দোলনরত বিভিন্ন দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ও নাশকতা সৃষ্টি করে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালায়।
আসামিরা প্রবেশ ও বহির্গমন গেট বলপূর্বক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সরকারি স্থাপনা মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনের কনকোর্সে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী আনুমানিক আড়াইশো কোটি টাকা।
কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুরে ক্ষতি একশ কোটি টাকাগত ২৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক গোলাম রসূল আজাদ (৫৫) মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার জনকে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে গত ১৯ জুলাই মিরপুর মডেল থানা এলাকা ও বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৫৫০০/৬০০০ দুর্বৃত্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত বিভিন্ন দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ও নাশকতা সংঘটিত করার লক্ষ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে।
মামলাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বসহকারে মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।- মিরপুর মডেল থানার ওসি
আসামিরা কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ ও বহির্গমন গেট বলপূর্বক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে কেপিআইভুক্ত সরকারি স্থাপনা কাজীপাড়া স্টেশনের কনকোর্সে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়। তারা মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে। এতে স্টেশনটি আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা।
কাজীপাড়া স্টেশনে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধরগত ২৪ জুলাই এমআরটি পুলিশের এএসআই সামসুল আলম বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় এক থেকে দেড় হাজার জনকে। আসামিরা দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৪২৭/৪৪৮/৩৮০/১০৯ ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫(ঘ) ধারায় অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুনবিটিভি-মেট্রোরেলে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে সহযোগিতা করুন‘মেট্রোরেল চালু হতে আরও সময় লাগবে’মেট্রোরেল চলাচল বন্ধমামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই কাজীপাড়াস্থ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনের কনকোর্স ও প্ল্যাটফর্মে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম। এদিন মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনের সব কলাপসিবল গেট, লিফট এবং এস্কেলেটর বন্ধ রাখা হয়। স্টেশন কন্ট্রোলার স্বাধীন প্রধানের (৩৫) সঙ্গে তার কক্ষে সিসিটিভি মনিটর পর্যবেক্ষণকালে দেখতে পাই, মিরপুর চৌরাস্তায় কোটা আন্দোলনের নামে অজ্ঞাতপরিচয় এক থেকে দেড় হাজার জন বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে মিরপুর মডেল থানাধীন কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের গেটগুলো ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।
এসময় সঙ্গীয় ফোর্স ও আনসার সদস্যসহ দুষ্কৃতকারীদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশে বাধা দিই। একপর্যায়ে আসামিরা স্টেশনের চারপাশের বিভিন্ন সিঁড়ির কলাপসিবল গেট ভেঙে প্রবেশ করে আমাদের এলোপাতাড়ি মারপিট এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে সাধারণ জখম করে। এরপর চারটি সাটারের পাশে থাকা কাঁচের গ্লাস ভেঙে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে স্টেশনে প্রবেশকারী অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং কাজীপাড়া স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত এমআরটির বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু চুরি করে নিয়ে যায়। যার বর্তমান মূল্য আনুমানিক পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
মেট্রো-১০ স্টেশনে ঢুকে ভাঙচুর ও মালামাল চুরিগত ২৪ জুলাই এমআরটি পুলিশের এএসআই মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা এক থেকে দেড় হাজার জনকে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর-১০ চৌরাস্তা সংলগ্ন মেট্রোরেল স্টেশনের কনকোর্স ও প্ল্যাটফর্মে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম। এদিন সিডিউল অনুযায়ী মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকার কারণে স্টেশনের সব কলাপসিবল গেট, লিফট এবং এস্কেলেটর বন্ধ করে স্টেশন কন্ট্রোলার মো. বদরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে সিসিটিভি মনিটর পর্যবেক্ষণকালে দেখতে পাই, মিরপুর চৌরাস্তায় কোটা আন্দোলনের নামে অজ্ঞাতনামা এক থেকে দেড় হাজার জন বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে লাঠিসোঁঠা, রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাজীপাড়া স্টেশনের গেটগুলো ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় সঙ্গীয় ফোর্স ও আনসার সদস্যসহ দুষ্কৃতকারীদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশে বাধা দিই। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা স্টেশনের চারপাশের বিভিন্ন সিঁড়ির কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে সেখানেও তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করি। কিন্তু চারটি সাটারের পাশে থাকা কাঁচের গ্লাস ভেঙে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে।
অবৈধভাবে স্টেশনে প্রবেশকারী অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা আমাদের এলোপাতাড়ি মারপিট ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সাধারণ জখম করে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও স্টেশনের মালামাল চুরি করে নাশকতামূলক ক্ষতিকর কার্যকলাপ সংঘটিত করে। এতে আনুমানিক প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, মেট্রোরেল মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ ও মালামাল চুরির ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুটি, এমআরটি পুলিশ দুটি এবং থানা পুলিশ বাদী হয়ে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন।
ওসি বলেন, মামলাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বসহকারে মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
জেএ/এমকেআর/জেআইএম