ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। গত ২৩ জুলাই রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেন।
Advertisement
জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। দেশ-বিদেশে তার চিকিৎসা চলছিল। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই হাসপাতালে নেয়া হয়।
মাইলস ব্যান্ডের শাফিন আহমেদকে হারানোর ক্ষত এখনো মুছেনি। তার মধ্যে সংগীতশিল্পী জুয়েলের অসুস্থতার খবরে সংগীতাঙ্গনে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন গানের মানুষসহ প্রিয়জনেরা।
দলছুট ব্যান্ডের বাপ্পা মজুমদার লিখেছেন, ‘জুয়েল ভাই, আপনি আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুন। প্রার্থনা.....’
Advertisement
গীতিকার জুলফিকার রাসেল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে জুয়েল ভাইয়ের জন্য আপনাদের সবার দোয়া জরুরি। দোয়া করুন যেন তিনি সহি সালামতে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।’
লেখিকা, গায়িকা সাবরিনা নিপু লিখেছেন, ‘জুয়েল দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠ বন্ধু। আবার একসঙ্গে গান গাইবো। প্রার্থনা তোর জন্য...’
এছাড়াও অনেক শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের জন্য দোয়া করে তার সুস্থতা কামনা করেছেন। জুয়েলের জন্য প্রার্থনা করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরাও।
প্রসঙ্গত, ব্যান্ডসংগীতের বিপুল জনপ্রিয়তার সময়ে ঠান্ডা ধাচের গান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বাবার চাকরি সূত্রে শৈশব-কৈশোরে তিনি দেশের নানা জায়গায় কাটিয়েছেন। মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন তিনি।
Advertisement
১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসেন জুয়েল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এভাবেই একসময় গানে জড়িয়ে যান জুয়েল। ১৯৯২ সালে বের হয় তার প্রথম অ্যালবাম। এরপর বেশ কিছু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। তার বেশিরভাগ গানের সুরকার ছিলেন প্রয়াত ব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চু।
এলএ/জিকেএস