কাঁঠাল খেয়ে অনেকেই এর বীজগুলো ফেলে দেন। তবে এই বীজ কিন্তু মোটেও ফেলনা নয়। এতে আছে অনেক পুষ্টিগুণ। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
Advertisement
এছাড়া এই বীজ দিয়ে দুর্দান্ত সব পদও তৈরি করা যায়। এই বীজ দিয়ে ডাল রান্নাও করতে পারবেন। আর কাঁঠাল বীজের ভর্তা হয়তো অনেকেরই প্রিয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক দু’পদের রেসিপি-
কাঁঠাল বীজের ডালউপকরণ
১. মটর ডাল ১৫০ গ্রাম২. ডাঁটা টুকরো করে কাটা ২৫০ গ্রাম৩. কাঁঠালের বীজ টুকরো করা ১০-১২টি৪. কাঁচা মরিচ কুচি ২টি৫. আস্ত কাঁচা মরিচ ২টি৬. হলুদ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ৭. লবণ স্বাদমতো৮. সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ৯. কালো জিরা ১/৪ চা চামচ ও১০. শুকনো মরিচ ১টি।
Advertisement
প্রথমে ডাল ভালো করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অন্যদিকে ডাঁটাগুলো ভালো করে কেটে রেখে দিন। এবার প্রেশার কুকারে পানি ও লবণ মিশিয়ে দিন কাঁঠালের বীজ ও ডাঁটা। এক সিটিতেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
এবার প্যানে ২ চামচ তেল গরম করে শুকনো মরিচ ও কালো জিরা ফোঁড়ন দিয়ে দিন। তারপর সেদ্ধ করা ডাল, কাঁচা মরিচ ও হলুদ গুঁড়া জ্বাল দিয়ে বেশ ঘন হলে নামিয়ে নিন। গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে এই পদ খেতে দারুণ লাগে।
কাঁঠাল বীজের ভর্তাউপকরণ
১. কাঁঠাল বীজ খোসা ছাড়ানো ১ বাটি ২. রসুন ৬ কোয়া৩. কালো জিরা আধা চা চামচ৪. কাঁচা মরিচ ৩টি৫. লবণ স্বাদমতো৬. হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ ও৭. সরিষার তেল ও পানি পরিমাণমতো।
Advertisement
প্রথমে কাঁঠাল বীজ ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে কাঁঠাল বীজ, কাঁচা মরিচ, রসুন ও কালো জিরা অল্প অল্প করে পানি দিয়ে বেটে নিতে হবে।
এবার প্যানে তেল গরম করে ওই বাটা মিশ্রণ দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিন। তারপর লবণ ও হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। শুকনো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে এই ভর্তা আপনার ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দেবে।
জেএমএস/জেআইএম