কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের শুঁটকি আড়তের ব্যবসায়ীরা। বেচা-কেনা একেবারে নেই বললেই চললে। পরিস্থিতি আবার আগের মতো স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
এদিকে মঙ্গলবার জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ায় এ আড়তের দুয়ার খুলেছে বুধবার সকাল থেকে। তবে যানবাহন চলাচল কম থাকায় আড়তে আসতে পারেননি উত্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ফলে ক্রেতাশূন্য আড়তে কয়েক দিনের মতো বৃহস্পতিবারও (২৫ জুলাই) লোকসান গুনতে হয়েছে অনেক ব্যবসায়ীকে।
সমিতির সূত্রমতে, সৈয়দপুরে শুঁটকি মাছের আড়তে ৫৪ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। খুলনা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে শুঁটকি আসে এই আড়তে। এখান থেকে কিনে নিয়ে যান উত্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে সারা দেশে জারি করা কারফিউয়ের কারণে গত বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে শুঁটকি আড়তের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের।
নীলফামারী থেকে মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজে শুঁটকি কিনতে আসা নাজমুল হোসেন বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ব্যাটারিচালিত ভ্যান রিজার্ভ করে শুঁটকি নিতে এসেছি। এতে পরিবহন খরচ অনেক বেশি হওয়ায় চড়া দামে শুঁটকি বিক্রি করতে হবে।
Advertisement
মেসার্স লিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহিদ হোসেন বলেন, আগে যেভাবে ব্যবসা হতো এখন দোকান খোলার পরও ব্যবসা সেভাবে হচ্ছে না। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এর কারণে ক্রেতা বাজারে আসছে না। আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।
ডোমার কাঁচা বাজার থেকে সৈয়দপুরে শুঁটকি কিনতে আসা মকবুল হোসেন বলেন, ‘মুই ডোমার থেকে শুটকি কিনতে আসছি সকালে। এসে দেখি দোকান বন্ধ। পরে ৮টার পর দোকান খুলছে। তবে বাজারে ক্রেতা খুবই কম।’
সৈয়দপুরে শুঁটকির দোকানদার সমিতির সভাপতি বাছেদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, খুচরা ও পাইকারি দোকানদারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। আমরা চাই সব কিছু স্বাভাবিক করে দেওয়া হোক।
ইব্রাহিম সুজন/এফএ/জেআইএম
Advertisement