জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট। এই প্রতিবেদককে আগেই জানিয়েছিলেন ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ। গত ৯ জুলাই সেই উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। সেখানে গিয়ে একটি কনসার্টে গান করেন। পরের কনসার্টের জন্যও প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ শরীর খারাপ লাগছিল তার। সেদিন হোটেল কক্ষে আয়োজকদের কয়েকজনের সামনে বুকে হাত দিয়ে পড়ে যান শাফিন আহমেদ।
Advertisement
গত শনিবার ভার্জিনিয়ায় ছিল স্টেজ শো। সেখানেই গান করার কথা ছিল শাফিন আহমেদের। সেদিন অনুষ্ঠানের আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, শাফিন আহমেদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। একই তথ্য দেন শাফিনের বড় ভাই হামিন আহমেদও। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানের দিন শাফিনের খুব খারাপ লাগছিল। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সে পড়ে যায়। হোটেলে ওই সময় উপস্থিত কনসার্টের আয়োজকরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন:
শাফিন আহমেদের প্রয়াণ, শোক জানিয়ে যা বললেন জেমস লাল খেলনা গাড়িটার কথা মনে পড়ত তারসপ্তাহ দুই আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিলেন শাফিন আহমেদ। যাওয়ার আগে তিনি জানিয়েছিলেন, দেশটির কয়েকটি রাজ্যে গান শোনাবেন। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হলো না। প্রবাসী বাঙালি শ্রোতারাও শাফিনের গান শোনার সুযোগ পেলেন না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে পাওয়া যায় শিল্পীর মৃত্যুর খবর। অথচ হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছুটা ভালো বোধ করছিলেন শাফিন। এ প্রসঙ্গে হামিন আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পর শাফিন কিছুটা ভালো বোধ করছিল। আয়োজকরা তাকে হাসপাতালে রেখে ফিরে যান। মাঝরাতে আবারও তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সেসময় জ্ঞান ছিল না। হার্ট বিট ফিরিয়ে আনার জন্য সিপিআর করা হয়। এরপর তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছিল।’
Advertisement
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শাফিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে ভারতে, তারও আগে কক্সবাজারে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তার। চলতি বছরের শুরুর দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জেও একবার হার্ট অ্যাটাক হয় শাফিনের। চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বড্ড তাড়া ছিল এই শিল্পীর। সে কারণে একের পর এক কনসার্টে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পুরাতন গানগুলো নতুন করে মাস্টারিংয়ের চাঞ্চল্য ছিল তার ভেতরে। ‘রুবারু’ শিরোনামে একটি মৌলিক হিন্দি গানও প্রায় প্রস্তুত করে রেখেছিলেন তিনি। অনেক স্বপ্ন অসম্পূর্ণ রেখে চলে যেতে হলো এই শিল্পীকে।
আরএমডি/এমএস