অলিম্পিক ফুটবলের প্রথম ম্যচেই মরক্কোর কাছে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে পরাজয় বরণ করে আর্জেন্টিনা। নানা নাটকীয়তার পর আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করা হয়। যে কারণে ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচটি শেষ হয় হার দিয়ে।
Advertisement
মূলতঃ নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয় ১৫ মিনিট। তখন মরক্কো এগিয়ে ২-১ গোলে। লম্বা একটি সময় অতিরিক্ত হিসেবে যোগ করায় ক্ষিপ্ত ছিল মরক্কোর সমর্থকরা। তাদের ধারণা, আর্জেন্টিনাকে সুবিধা দিতেই এতগুলো মিনিট অতিরিক্ত যোগ করা হয়।
ধারণা অনুসারে ১০৫ মিনিটের সময় গিয়ে, অর্থ্যাৎ খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা হেড করে গোল করেন। এরপরই ক্ষুব্ধ মরক্কোর সমর্থকরা মাঠে বৃষ্টির মত বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। আতশবাজিও ফোটায়। যে কারণে ম্যাচের শেষ বাঁশি না বাজিয়েই রেফারি দুই দলের ফুটবলারদের নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন।
এ সময় মরক্কোর সমর্থকরা মাঠে নেমে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেখায়, ‘মাঠে আপনাদের সময় শেষ। সুতরাং, যে যেখানে আছেন, সেখানকার কাছাকাছি গেইট দিয়ে বের হয়ে যান।’ সমর্থকরাও ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে মনে করে মাঠ ছেড়ে যান।
Advertisement
২ ঘণ্টা পর মাঠ পরিস্কার করে আবারও দুই দলকে আনা হয় খেলার শেষ বাঁশি বাজানোর জন্য। এ সময় নিয়মানুযায়ী ভিএআর দিয়ে গোল চেক করা হয়। যেখানে দেখা যায় ব্রুনো অ্যামিওনে অফসাইডে ছিলেন। ফলে আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করে দেন রেফারি। এর এক মিনিটের মধ্যেই খেলা শেষের বাঁশিও বাজিয়ে দেন তিনি।
শেষ মুহূর্তে ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকা এবং ভিএআর দেখে গোল বাতিল করে দেয়ায় ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি লিওনেল মেসির মত ফুটবলারও। পায়ের চোটে তিনি এখন রয়েছেন বিশ্রামে। পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন ফ্লোরিডা সমূদ্র সৈকতে। বুধবার অলিম্পিকে নিজ দেশের হারের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য।’
আর্জেন্টিনা শিবিরও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ। কোচ হ্যাভিয়ের মাচেরানো তার দেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এমন ফলাফল কল্পনাই করতে পারিনি। নিজে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু অলিম্পিকে এ ধরনের তামাশা এই প্রথম দেখলাম। দুই ঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ থাকার পরে এমন একটা সিদ্ধান্তের শিকার হতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে আমাদের ফুটবলারদের লক্ষ্য করে বোতল ছোঁড়া হয়েছে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।’ তবে পরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিভাবে মাঠে দর্শক ঢুকলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনার পুরনাবৃত্তি আর হবে না।’
Advertisement
আইএইচএস/