দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ‘মহানায়ক সম্মান' পেয়েছেন। ভারতের রাজ্য সরকারের এ বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হয়ে ভীষণ আনন্দিত নচিকেতা। কিন্তু নচিকেতা এ সম্মান লাভ করায় নেটিজেনদের একাংশ এ শিল্পীকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা ছড়াচ্ছেন।
Advertisement
নচিকেতাকে এমন কটাক্ষের কারণ হচ্ছে, ‘তিনি গানের শিল্পী হয়ে মহানায়ক উত্তম কুমারের নামে প্রবর্তিত এ সম্মাননা লাভ করা। কটাক্ষকারীরা বলছেন একজন নায়কের নামের সম্মাননা কীভাবে একজন সংগীতশিল্পী পান। তিনি তো কখনো অভিনয় করেননি। তাকে কেন এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তো অভিনেতা নন।’
এমন কটাক্ষের জবাবে নচিকেতা ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিনয় যেমন শিল্প, গানও শিল্প। তাই মহানায়ক সম্মান আমাকে দেওয়া হয়েছে। এই সম্মান এমন যে কোনো শিল্পীই পেতে পারেন যিনি কোনো শিল্পে পারদর্শী। তাছাড়া আমি তো অভিনয় করেছি। তিন-চারটি সিনেমায় আমি নচিকেতা হয়েই অভিনয় করেছি। তাতে গান গেয়েছি।’
অন্যদিকে ‘মহানায়ক সম্মননা’ পেয়ে নচিকেতা বলেন, ‘এখনো যে টিকে আছি, এ-ই যথেষ্ট! আর কী চাই?’
Advertisement
মঞ্চে (বাম দিক থেকে) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মমতা বন্দোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তী, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, রুক্মিণী মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত
কিংবদন্তি নায়ক উত্তম কুমারের ৪৪ তম মৃত্যুদিবসে সংগীতশিল্পী নচিকেতাকে ‘মহানায়ক সম্মান’ দেওয়া হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চলতি বছরের এ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এবার সম্মান প্রাপকদের তালিকায় নচিকেতা ছাড়াও চট্টোপাধ্যায়, নতুন সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, রুক্মিনী মৈত্র এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্য।
নচিকেতা সংগীত জীবনের ৩১ বছরে ভারতের রাজ্য সরকারের বিশেষ পুরস্কার ‘মহানায়ক সম্মান’লাভ করলেন। বাংলা সিনেমার মহানায়ক খ্যাত উত্তমকুমারকে সম্মান জানাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিশেষ সম্মানের আয়োজন করছে। উত্তমকুমারের মৃত্যুদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা শোবিজ অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন।
নচিকেতার সংগীত জীবন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। বিভিন্ন ধরনের গান গেয়ে জনপ্রিয়াতার শীর্ষে পৌঁছেন এ শিল্পী। নিজের গানের শ্রোতাদের প্রসঙ্গে নচিকেতা বলেন, ‘এখনো আমার নামে হল ভর্তি হয়। টিকিট বিক্রি হয়। এর থেকে বড় সম্মান বা পুরস্কার আর কী হতে পারে?’
Advertisement
এমএমএফ/জিকেএস