খেলাধুলা

‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস’ ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা কোচ

শেষ মুহূর্তে দুই ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকলো ম্যাচ। ততক্ষণ পর্যন্ত ছিল ২-২ গোলে সমতা। এরপর খেলা শুরু হতেই ভিএআর দেখে আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করে দিলেন রেফারি। সে সঙ্গে ম্যাচ শেষের বাঁশি। প্যারিস অলিম্পিকে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলের অপ্রত্যাশিত হার লিওনেল মেসির দেশের।

Advertisement

মরক্কো জিতে যাওয়ায় যে ফুটবল বিশ্ব হতবাক হয়েছে, তেমনটা নয়। কিন্তু যেভাবে আর্জেন্টিনা হেরেছে এবং ম্যাচে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সমর্থকদের আগ্রাসী আচরণে, তা নিয়েই আপাতত আলোচনা বেশি চলছে বিশ্বফুটবলে।

মরক্কোর সমর্থকরা মাঠে এমনই উত্তেজনা তৈরি করেন, যার জেরে খেলা ছাপিয়ে দিতে বাধ্য হন রেফারি, সাজঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ফুটবলারদের। যা দেখে বেজায় চটেছেন আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের কোচ হাভিয়ার মাসচেরানো। তিনি সরাসরি তোপ দেগেছেন আয়োজকদের দিকে।

প্রায় দেড় ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে আটকে থাকলেও ম্যাচের বিষয় তাদের কিছুই জানানো হয়নি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে, এমনই দাবি করেছেন সাবেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।

Advertisement

ম্যাচের শেষ লগ্নে ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা গোল করে ফল ২-২ করলে এরপর অশান্তি শুরু করেন দর্শকরা। দেড় ঘণ্টা পর সেই গোল অফসাইডের জন্য বাতিল করেন রেফারি।

হাভিয়ার মাসচেরানো বলছেন, ‘আমি বলে বোঝাতে পারব না, ঠিক কী হয়েছে। আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে ছিলাম, কী হচ্ছে কিছুই আমাদের জানানো হয়নি। মরক্কোর অধিনায়ক খেলতে চাইছিল না, আমরাও খেলতে চাইনি। দর্শকরা আমাদের লক্ষ্য করে জিনিস ছুঁড়ছিল। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস এটা।’

আর্জেন্টাইন কোচ যোগ করেন, ‘আমি জানি না কেন ওরা ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পরে ম্যাচ নিয়ে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিলো। যদি মেদিনার গোল অফসাইডই ছিল, তাহলে সেটা অবৈধ ঘোষণা করেই খেলা চালিয়ে যাওয়া যেতে পারতো। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পর তিন মিনিট ম্যাচ খেলানোর কোনও যুক্তি রয়েছে কিনা আমি জানি না।’

দলের হার নিয়ে মাসচেরানো বলেন, ‘আমি খুব বেশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে দোষ দেবো না। আমাদের পরের দুটো ম্যাচ রয়েছে ইরাক এবং ইউক্রেনের বিপক্ষে। গ্রুপ 'বি'র সেই দুটো ম্যাচে ভালো ফুটবল খেলতে হবে এবং জয় তুলে নিতে হবে, এই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি আমরা আর চাই না।’

Advertisement

এমএমআর/জিকেএস