তথ্যপ্রযুক্তি

বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন যেসব উপায়ে

বাড়িতে নানান ধরনের বৈদ্যুতিক গ্যাজেট ব্যবহার করছেন। তীব্র তাপপ্রবাহে ফ্যান, এসি, এয়ার কুলার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের খরচ দিনদিন বাড়ছে। ইলেকট্রিক বিল মেটাতে প্রতি মাসে অনেক টাকা খরচ হয়।

Advertisement

তবে বিদ্যুৎ বিল কমানোর বেশ কিছু উপায় আছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেসব-

>> সন্ধ্যা হলে ঘরে আলো জ্বালাতেই হবে। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পোড়ে বাল্ব বা টিউবলাইটে। এখন এর বদলে এলইডি লাগানো যায়। এলইডি বাল্ব ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। তাছাড়া চলেও অনেকদিন।

>> বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্যাজেটে বিনিয়োগ বিদ্যুতের খরচ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। ফ্রিজ হোক বা এসি, কেনার আগে এনার্জি স্টার লেবেল দেখে নিতে হবে। এই ধরণের প্রোডাক্ট মার্কিন এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির বেঁধে দেওয়া নির্দেশিকা মেনে বানানো। তাছাড়া নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণেও কার্যকারিতা বাড়ে।

আরও পড়ুন নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখুন ৫ বিষয় 

>> অনেকেই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের স্যুইচ অফ করেন কিন্তু প্লাগ লাগানোই থাকে। এই অবস্থাতেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। একে ‘ফ্যান্টম’ বা ‘স্ট্যান্ডবাই’ বলে। তাই ডিভাইস ব্যবহার না করলে সেটা আনপ্লাগ করতে হবে। এর ফলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

Advertisement

>> থার্মোস্ট্যাট সেটিংস খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে রাতে বা বাড়ির বাইরে থাকলে থার্মোস্ট্যাটকে কম তাপমাত্রায় সেট করতে হয়। আবার গ্রীষ্মে বাড়িয়ে রাখতে হয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ির তাপমাত্রায় সামঞ্জস্য রাখার জন্য প্রোগ্রামেবল বা স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট ইনস্টল করার কথা ভাবা যায়।

>> ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে। পাশাপাশি ফুল লোডে চালানো হচ্ছে কি না সেটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জামাকাপড় শুকনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার না করে রোদে মেলে দিলেও অনেক বিদ্যুৎ বাঁচবে।

>> এসির হিটিং, ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফিল্টার বদলানো থেকে শুরু করে বছরে একবার সার্ভিসিং, অনেকটা বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন ল্যাপটপ স্লো হলে যা করবেন  বজ্রপাতের সময় ফোন-ল্যাপটপ কোথায় রাখবেন? 

সূত্র: দ্য ভার্জ

Advertisement

কেএসকে/জিকেএস