জাতীয়

আমিরাতে শ্রমিক নেওয়া বন্ধের খবর সঠিক নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সংযুক্ত আরব আমিরাত শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে বলে যে খবর রটেছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

Advertisement

বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেক জায়গায় বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিগোষ্ঠী পাকিস্তান কমিউনিটির সহায়তা নিয়েছে। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আবর আমিরাতে ৫৪ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজনকে এক বছর এবং বেশ কয়েকজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৌদি আরবে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেছেন তারাও সেখানে কিছু বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে যারা বিক্ষাভ করেছে। গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি, আরব আমিরাত আমাদের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে- এটা নিঃসন্দেহে ভোগাস। যারা এ সংবাদ দিয়েছে, যাচাই-বাছাই না করে দেওয়াটা সমীচীন হয়নি, সঠিক হয়নি। এ ধরনের সংবেদনশীল সংবাদ যাচাই-বাছাই করে দেওয়া উচিত। আমরা একটু আগে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেননি।

Advertisement

হাছান মাহমুদ, আজ পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। টোটাল ৪৯টি মিশনের প্রতিনিধি ছিলেন। ২৩ জন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অর্ধদিবসের নোটিশে এই কঠিন সময়ে এত রাষ্ট্রদূত যাওয়া সহজ কাজ ছিল না। সৌদি আর বলেছে গ্রেফতার করেছে। তবে সংখ্যাটা আমি এখন বলতে পারবো না। সেটা আমাকে জেনে জানাতে হবে। আমিরাত যাদের গ্রেফতার করেছে সেটা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ওটা ওদের আইনি ব্যাপার। শাস্তি দিয়েছে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

কতজন মারা গেছেন, কূটনীতিকরা কি তা জানতে চেয়েছেন? এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি সবাই জানতে চায়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট, ইনটেলিজেন্স আছে, ঘটনা ঘটলো, তাদের ব্যর্থতা আছে কি না এবং সরকার তদন্ত করবে কি না- এখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের ল অ্যান্ড এনফোর্সেমেন্ট এজেন্সিগুলো কাজ করছে। কাজ করে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের ল অ্যান্ড এনফোর্সেমেন্ট যথেষ্ট চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে জাতিসংঘের ভেইকল ব্যবহার করছেন। জাতিসংঘের কোনো ভেইকল ব্যবহার করা হচ্ছে না। ওটা জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি। এখন লোগোটা মুছে দেওয়া হয়েছে।

আইএইচআর/ইএ/এএসএম

Advertisement