চলমান কারফিউ ও সাধারণ ছুটির পর চট্টগ্রামে খুলেছে রপ্তানিমুখী চার শতাধিক পোশাক কারখানা। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কিছু কারখানা খোলা থাকলেও আজ সকাল থেকে চারশোর বেশি কারখানা খুলে দেওয়া হয়।
Advertisement
এসব কারখানায় সকাল থেকে আসতে শুরু করেন শ্রমিকরা। তবে শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, এরই মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে কারখানায় যোগ দিয়েছেন পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী।
শ্রমিকরা জানান, ‘কারখানা বন্ধ থাকার কারণে বাসায় ভালো লাগছিল না। কাজে যোগ দিয়ে এখন ভালো আছি। কারখানায় কাজের মধ্যেই আমরা ভালো থাকি। তবে কাজে আসার পথে অনেক ভয় হচ্ছিল। নিরাপত্তার মধ্যে আমরা কর্মস্থলে আসতে পেরেছি। পথে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তবে গাড়ির সংখ্যা কম। বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশায় কর্মস্থলে আসতে হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় চলাচলের জন্য শ্রমিকদের আইডি কার্ডকে কারফিউ পাস হিসেবে গণ্য করা হবে। চট্টগ্রামে অসংখ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। লাখ লাখ শ্রমিক এখানে কাজ করেন। আমরা সব কারখানা যত দ্রুত সম্ভব কর্মমুখী করছি। কারখানাগুলো যেন উৎপাদনে আসতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
Advertisement
দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে এই জরুরি সময়েও পোশাক কারখানা সচল রাখা হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ইউনি গার্মেন্টসের মানবসম্পদ বিভাগের ম্যানেজার সোহেল মাহমুদ বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের বিকল্প নেই। বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণের প্রধান উৎস রপ্তানি পোশাকখাত। এজন্য পোশাক কারখানা খোলার বিকল্প নেই। এখন খোলা হয়েছে। শ্রমিকরা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন, সবার উপস্থিতিও রয়েছে স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রতি একটাই অনুরোধ, এ অবস্থায় রাস্তার নিরাপত্তা জরুরি। এটা দিলে শ্রমিকরা সহজভাবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। এতে দেশের অর্থনীতির চাকাও আমরা সচল রাখতে পারবো। চট্টগ্রামে দুটি ইপিজেডের অধীনে পোশাক কারখানা রয়েছে চার শতাধিক। যেখানে কাজ করেন পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রমিক।
এমডিআইএইচ/এসএনআর/জেআইএম
Advertisement