ধর্ম

দরুদ পাঠে উদাসীন ব্যক্তির জন্য যে দোয়া করেছেন জিবরাইল (আ.)

আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নাম উচ্চারণ করলে বা শুনলে দরুদ পড়া ওয়াজিব। কোনো মজলিসে, আলোচনায়, লেখায় একাধিকবার নবিজির (সা.) নাম উচ্চারিত হলে প্রতিবার দরুদ পড়াই উত্তম, তবে একবার দরুদ পড়লেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়।

Advertisement

মুসতাদরাকে হাকেমের এক বর্ণনায় এসেছে, একদিন খুতবা দেওয়ার জন্য আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মিম্বরে উঠছিলেন। মিম্বরের তিনটি ধাপ ছিল। তিনি যখন প্রথম ধাপে উঠলেন তখন বললেন, আমিন অর্থাৎ হে আল্লাহ, কবুল করুন!

সাহাবায়ে কেরাম বুঝতে পারলেন না আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেন দরুদ পড়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে উঠলে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার বললেন, আমিন! তৃতীয় ধাপে উঠেও তিনি বললেন আমিন!

Advertisement

বয়ান শেষে এক সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মিম্বরে ওঠার সময় তিন বার আমিন বললেন। এ রকম কখনও বলতে শুনিনি এবং এর কারণও বুঝতে পারিনি।

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যখন আমি প্রথম ধাপে উঠেছিলাম, তখন জিবরাইল (আ.) বলেছিলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমজান পেয়েও নিজের গুনাহসমূহ ক্ষমা করিয়ে নিতে পারেনি। আমি ওই দোয়ার জবাবে বলেছি, আমিন! হে আল্লাহ কবুল করুন!

দ্বিতীয় ধাপে যখন উঠেছি, জিবরাইল (আ.) বলেছেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার সামনে আপনার নাম উল্লেখ করা হলো আর সে দরুদ পাঠ করলো না। আমি তার এই দোয়ার জবাবেও বলেছি, আমিন! হে আল্লাহ কবুল করুন!

তৃতীয় ধাপে যখন উঠেছি তখন জিবরাইল (আ.) বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে তার বাবা-মা উভয়কে অথবা একজনকে বৃদ্ধ অবস্থায় পেলো, কিন্তু তাদের সেবা করে তাদেরকে খুশি করে জান্নাত লাভ করতে পারলো না। আমি এই দোয়ার জবাবেও বলেছি আমিন! হে আল্লাহ কবুল করুন! (মুসতাদরাকে হাকেম: ৭৪১৪)

Advertisement

এ হাদিসটি থেকে নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নাম ‍উচ্চারণ করলে বা শুনলে দরুদ পড়ার গুরুত্ব বোঝা যায়। রমজান মাসের নেক আমল ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খেদমতের গুরুত্বও বোঝা যায়।

ওএফএফ/জিকেএস