বর্তমান সময়ে ছক্কা হাঁকানো ছাড়া ক্রিকেট ম্যাচকে তো একেবারেই পানসে মনে হয়। আধুনিক ক্রিকেটে চার-ছক্কার ম্যাচ দেখতেই বেশি আগ্রহী দর্শকরা। এটিই তাদেরকে বেশি বিনোদিত করে থাকে। যে কারণে ক্রিকেট দলগুলোর মধ্যেও দেখা যায় বেশি পরিমাণে চার-ছক্কা হাঁকানোর প্রবণতা।
Advertisement
এদিকে যে দেশে ক্রিকেটের জন্ম, সেই ইংল্যান্ড অবতারণা করলো নতুন এক নিয়মের। যে নিয়মে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছক্কা হাঁকানোকেই। ব্যতিক্রমী এই নিয়মের পেছনে কারণও রয়েছে ব্যতিক্রমী। প্রতিবেশিদের অভিযোগের কারণেই চাঞ্চল্যকর এই নিয়ম জারি করতে বাধ্য হয়েছে ২৩৪ বছরের পুরোনো সাউথউইক ও শোরহাম ক্লাব।
প্রতিবেশিরা অভিযোগ করেছেন, ক্রিকেটারদের হাঁকানো বল তাদের ঘরের দরজা-জানালা ও গাড়িতে আঘাত হানে। এতে করে তাদের বসতবাড়ি-দামি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যেমনটি দেখা যায় বাংলাদেশেও। পাড়ার ক্রিকেটে আশেপাশে ঘরবাড়ি থাকার কারণে নিয়মে বলা হয়, কেউ ছক্কা হাঁকালে আউট বলে বিবেচিত হবেন।
ইংলিশদের এই অভিযোগ চলে গেছে মূলধারার গণমাধ্যমে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এও। সেখানে অভিযোগ করে মেরি গিল নামের ৮০ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘এটি খুব ছোট মাঠ এবং তেজোদ্দীপ্ত যুবকদেরকে জায়গা দিতে পারে না। যারা খেলতে আসে এবং যতদূর পারে বলটি মারতে চায়।’
Advertisement
এদিকে নতুন এই নিয়মকে হাস্যকর বলেছেন ক্লাবের এক ক্রিকেটার। এতে ক্রিকেটের আনন্দই চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বোলারকে ছক্কা মারা খেলার গৌরবের অংশ। কিভাবে আপনি এটা নিষিদ্ধ করতে পারেন? এটা হাস্যকর। এটা কেড়ে নেওয়া হলে খেলার আনন্দই মুছে ফেলা হয়।’
মূলত, পশ্চিম সাসেক্সের এই ক্লাবটি যে মাঠে খেলে, সেটি আয়তনে খুবই ছোট। আর মাঠের আশেপাশে রয়েছে বসতবাড়ি। ক্রিকেটাররা জোরে ব্যাট হাঁকালেই বল গিয়ে পড়বে তাদের বাড়িতে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাড়ির বিভিন্ন অংশ। এমনটি পার্কিং করা গাড়ির কাচও ভেঙে যায়। সেসব প্রতিবেশিদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই নিয়ম করেছে সাউথউইক।
এমএইচ/জেআইএম
Advertisement