ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে সাতটি গ্রামের মানুষের কুমার নদ পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। দীর্ঘ চার যুগের বেশি সময়েও একটি ব্রিজ কপালে জোটেনি সাত গ্রামের মানুষের।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমার নদে একটি ব্রিজের অভাবে বছরজুড়েই চরম ভোগান্তি আর ঝুঁকি পোহাতে হয় তাদের। ফলে কষ্টের যেন শেষ নেই। এই এলাকার মানুষ নৌকা পারাপারের মাধ্যমে দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাচল করে থাকেন। এছাড়া উৎপাদিত ফসল এবং শাক সবজি বাজারে আনা-নেওয়ায়ও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বর্ষাকালে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও অসুস্থ ব্যক্তিদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়।
দেখা যায়, উপজেলার রায়পুর, বকশিপুর, পাইককান্দি, বারোভাগিয়াসহ অন্তত সাতটি গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদ। এই নদে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ব্রিজ না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাতটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষদের। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কালিগঙ্গা থেকে বাঙ্গাবাড়িয়া বাজারে এলাকার চলার পথে কুমার নদী। কুমার নদের ওই স্থানে বাঁশের সাঁকো মেরামতের কিছুদিনের পরই তা ভেঙ্গে পড়ে। এখন বর্ষা মৌসুমে দুই পাড়ের মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় নৌকা।
বকশিপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হুসাইন জাগো নিউজকে বলেন, এই এলাকার বাসিন্দাদের একটাই চাওয়া কালীগঙ্গা থেকে বাঙ্গাবাড়িয়া বাজারে যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ। শুকনো মৌসুমে বাশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পারাপার হওয়া যায় না। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি দেখে আসছি।
Advertisement
বাঙ্গাবাড়িয়া বাজার ব্যবসায়ী শ্যামপদ দাস জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি এই বাজারে ব্যবসা করি। কালীগঙ্গায় একটা ব্রিজ না থাকার কারণে প্রতিদিনই অনেক কষ্ট করে নৌকায় পারপার হতে হয়। ফলে সাত গ্রামের মানুষকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, যদিও আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। তারপরেও দ্রুত এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আসলে ওখানে একটা ব্রিজ প্রয়োজন। ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ও ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমানকে জানানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
এন কে বি নয়ন/এমআরএম/এমএস
Advertisement