অর্থনীতি

শিল্পখাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলাদেশে উদার বিনিয়োগ নীতির সুযোগ নিয়ে তৈরি পোশাক, জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ উদীয়মান এসএমই শিল্পখাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ শিল্পনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা এবং শিল্পখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ জোরদারের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র সফররত শিল্পমন্ত্রী বুধবার অক্সফোর্ড স্ট্রিটের হার্ভাড সিজ মিলনায়তনে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের টেকসই বিকাশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনঅ্যাবল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং হার্ভাড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড এপ্লাইড সায়েন্স যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনঅ্যাবল ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক ইকবাল ইউসুফ এর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাত্থ গার্ডনার ও জেনিফার ক্লিফর্ড, টাফ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক জেট নুডসেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাঈদ হাসনাত  ও অধ্যাপক ড. নূরুল আমান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন অনুষদের সদস্য, শিক্ষাবিদ, এসএমই বিশেষজ্ঞ, গবেষকসহ শিক্ষার্থীরা আলোচনায় অংশ নেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। দেশে প্রায় ৮০ লাখ শিল্প-কারখানার মধ্যে ৯০ শতাংশই এসএমইখাতের আওতাভুক্ত। এ শিল্পখাত থেকে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শতকরা ৭৫ ভাগ পারিবারিক আয় হচ্ছে। সম্মিলিতভাবে এসএমইখাত শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি শিল্পকর্মসংস্থান এবং শতকরা ২৩ ভাগ সাধারণ কর্মসংস্থানের উৎস বলে তিনি উল্লেখ করেন।আমির হোসেন আমু বলেন, জাতীয় অর্থনীতির জীবনী শক্তি হিসেবে বর্তমান এসএমই শিল্পখাতে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তাদের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ প্রদান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক ডেক্স স্থাপন করা হয়েছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে জাতীয় এসএমই  উন্নয়ন নীতি কৌশল আধুনিকায়ণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।এমএ/এআরএস/আরআইপি

Advertisement