জাতীয়

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত দুই, হাসপাতালে ভর্তি অর্ধশত

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন দুজন। তাদের একজন শিক্ষার্থী। তার নাম ইমাদ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি পটিয়া কলেজের শিক্ষার্থী। অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Advertisement

দুজনের মরদেহ রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।

এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০-এর অধিক। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দফার সংঘাত শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং ট্রাফিক পুলিশবক্স সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কোটা সংস্কার ও আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে নানান স্লোগান দিতে থাকেন। এক ঘণ্টার মধ্যেই হাজারখানেক শিক্ষার্থী জমায়েত হন সেখানে।

Advertisement

বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ–যুবলীগের একটি মিছিল বহদ্দারহাট মোড়ের দিকে আসে। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এভাবে চলে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সরে পড়ে। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানেগ্যাসের শেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এছাড়া রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশ-র্যাবের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আরও ১০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঢাকার সাভার এবং মাদারীপুরে একজন করে নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

এর বাইরে আরও নিহতের তথ্য ছড়ালেও এখনো সেগুলো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Advertisement

এমএইচআর/জিকেএস