দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে ইটের আঘাতে গুরুতর আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

সিরাজগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলামসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের ইবি রোড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ঝাউল ওভারব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এতে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে শহরের ইবি রোড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ঝাউল এলাকায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

Advertisement

এদিকে ইবি রোড এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ঝাউল ওভারব্রিজ ও কলেজ এলাকায় পুলিশের রাবার বুলেটে অন্তত ২২ শিক্ষার্থী আহত রয়েছেন। এরমধ্যে শিহাব (১৯) ও মুন্না (১৭) একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শহরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুলেটবিদ্ধ হয়ে ভর্তি রয়েছেন।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল পৌনে ৩টার গুরুতর আহত অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি পেটের বাম পাশে ইটের আঘাত পেয়েছেন। তবে এটি কতটুকু গুরুতর তা জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া বলেন, মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকায় দায়িত্ব পালন করছি। কাজেই শহরের ভেতরে সংঘর্ষের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম আহত হওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন করতে এসে মহাসড়কে উঠে পড়লে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে শিক্ষার্থীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। তারা দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

এম এ মালেক/এসআর/এএসএম