আইন-আদালত

জানাজা থেকে গ্রেফতার: ডা. সায়ন্থসহ বিএনপির ২১ জন কারাগারে

বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা শেষে অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ বিএনপির ২১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের গায়েবানা জানাজা থেকে ফেরার পথে বুধবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামিদের উপস্থিত করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করে তাদের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, দারুস সালাম থানার ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি খান জুয়েল (৫৮), তুরাগ থানার বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমান উল্লাহ ভূঁইয়া আমান (৫৪), বিএনপি নেতা দিল মোহাম্মদ (৫৬), মো. নওয়াব আলী (৪৯), দারুস সালাম থানার ১২নং ওয়ার্ড যুবদল সেক্রেটারী শেখ মর্তুজা আলী (৩৭), রূপনগর থানার শ্রমিক দলের সেক্রেটারী মো. শামছুল আলম মিন্টু (৫৪), দক্ষিণখান থানার ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ কোষাধ্যক্ষ এস এম মশিউর রহমান (৫২), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ (৩০), মিরপুর-২ নং থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার ভূঁইয়া (৫৬), ফজলুর রহমান (৬০), ইকতারুল ইসলাম মিঠু (৩৪), মো. মাছুম (৩০), আমির হোসেন (৫০), মনির হোসেন (৩৬), পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন (৪২), মো. কামরুল হাসান (২২), মো. হামিদুর রহমান হাম্মাদ রাব্বি (২৭), রফিকুল ইসলাম (৫০), মো. ফয়েজ আহম্মেদ (৪০) ও সৈয়দ ইসমাইল হোসেন (৪০)।মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ জুলাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কর্তৃক আয়োজিত একটি গায়েবানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গায়েবানা জানাজায় অনুমানিক ৪০০-৫০০ জন সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত নামাজ শেষে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট দিয়ে বের হয়ে মিছিলসহ অরাজকতা সৃষ্টি করবে বলে খবর পায় পুলিশ।

এরপর ৪০০-৫০০ জন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদের অনুরোধ করে। কিন্তু তারা পুলিশের অনুরোধ অমান্য করে পুলিশের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও রাস্তায় থাকা যানবাহনে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

জেএ/জেএইচ/জিকেএস