সাহিত্য

আফসোস তোকে দিলাম ছুটি এবং মেঘবালিকা

আফসোস তোকে দিলাম ছুটি

Advertisement

মহাবিশ্ব সমান আফসোস তোমায় না পাওয়ার!সময় অসময়ের বৃষ্টিতে, চেনা পথটায় হাঁটতে গেলেনয়তো চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে...হ্যালুসিনেশনে তোমার মুখের আবছায়া।‌‘আফসোস’ নামক আমরণ ব্যাধির সনে বাস আমার।

একজনমে কত আফসোসের গোর হয়েছে সঙ্গোপনে,আঠারো ইঞ্চি বুকটায় সাত সমুদ্র সমান হাহাকার!তুমিহীন জীবনের সবটাই আফসোস!

সপ্তাশ্চর্যের মত আশ্চর্য মিশ্রণে দেখি—যাকে প্রশ্রয় দিয়ে নিঃশেষিত হচ্ছি প্রতিনিয়তধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি শূন্যতার অতল গহ্বরে,তার সুবিস্তৃত মহীরুহের শাখা-প্রশাখায়আমার খড়কুটো বাসের সামান্য স্থান সংকুলানহীন!

Advertisement

তাই তো, একদিন তোমাকে না পাওয়ারনীল বেদনাটাকে ছুটি দিলাম।নিজেকে বোঝালাম—যাকে পাইনি, তাকে না পাওয়াতেই আমার পূর্ণতা।

বলবে, ‘মিথ্যে সান্ত্বনা’। বলাই যায়!কিন্তু যে মিথ্যে ভালো রাখে,সে মিথ্যেকে আমি চোখ বন্ধ করে ভালোবাসি।যে আমার হলো না, তার তরে আফসোসে গলা ফাটিয়েযা কিছু আমার রইলোতার প্রতি অবিচার করার কোনো মানেই হয় না।

****

মেঘবালিকা

Advertisement

ও মেঘবালিকাযেও না একা,ঝরে যাও আজি শ্রাবণ-বারির মতো।স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় ঘোচাও আজিআমার আমির যত ক্ষত।

হাহাকার প্রিয়াভিজবে হিয়া,ডুববে আজি মুগ্ধতার বিমগ্নতায়।হীম কাঁপনে জমবে হৃদয়প্রেম পবনের শীতল ছোঁয়ায়।

ঝরে পড়স্পর্শ কর,শীতল ঠোঁটের আবেগী চুমুর মতো।শুষ্কজলা পূর্ণতায় ছুঁয়েজীবনটা হোক আজ জীবন্ত।

ওহে দামিনীনব রাগিনী,আজি ব্যথার খরা পড়বে বাঁধা তোমার ঋণে।বেসামাল মন ঠিকানা হারাপ্রেম প্রণয়ের বাদল দিনে।

ও মেঘবালিকাআমিও যে একা,তোমার ধারায় ভিজব আজি আপন মনে।সিক্ত পরান বলবে আজি—‘এই তো বেঁচে থাকার মানে।’

এসইউ/