রাজধানীর রামপুরা পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সেখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পুলিশ বক্সটি জ্বলছিল।
Advertisement
এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২ ও ৩ নম্বর গেটের সামনের সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।
আরও পড়ুনশাহবাগ-টিএসসিতে নিরাপত্তা জোরদার, যানবাহন না চলায় দুর্ভোগগণপরিবহন কম, রিকশায়-হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন নগরবাসীতবে সেখান থেকে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর পৌনে ১২টায়ও এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল।
ঢাকাসহ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে ছিল থমথমে পরিবেশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে।
Advertisement
সকাল থেকে সকালে রাজধানীর রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় যান চলাচল একেবারেই সীমিত। ব্যক্তিগত গাড়িও কম। এসব এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এ কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্য জরুরি সেবাগুলো ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
রামপুরা থেকে গুলিস্তান সড়ক ফাঁকা, দোকানপাটও বন্ধ বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াবুধবার রাতে শনির আখড়ার কাজলা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়কের অন্তত ২০টি স্থানে আগুন দেওয়া হয়। সড়কে গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে করে করে দেওয়া হয় যান চলাচল।
Advertisement
এর আগে বুধবার দিনভর ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরএএস/এমকেআর/জেআইএম