ফের আন্দোলনকারীদের দখলে ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ টহলের পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় যান চলাচল শুরু হলেও ফের একত্র হয়ে রাস্তা দখলে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মধ্যরাতেও পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আন্দোলনকারীরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
বুধবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাত সোয়া ৩টায় যান চলাচল শুরু হয়। কিন্তু টহলের কিছুক্ষণ পর ফের একত্র হয়ে রাস্তা দখলে নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ-র্যাব-বিজিবির টহল শেষে রায়েরবাগ, শনির আখড়ায় আটকে থাকা অনেক যানবাহন যাত্রাবাড়ী আসতে পারলেও কিছুক্ষণ পর ফের একত্র হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও সড়কে আগুন জ্বালায় আন্দোলনকারীরা।
ট্রাকচালক সুমন জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ আসার পরপরই আন্দোলনকারীরা ইট ছুড়তে শুরু করছে। রাস্তা বন্ধ করে ইট নিক্ষেপ করছে। আমার পাশের অনেকের গাড়ির গ্লাস ভাঙছে। রাস্তা এখন বন্ধ করে দিয়েছে।আরও পড়ুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ঢাকায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি: র্যাবআরেক ট্রাকচালক আব্দুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীরা গলির ভেতর থেকে ইট নিক্ষেপ করছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমার হেলপারেরও মাথা ফেটে গেছে। কোনো রকম জীবনটা নিয়ে গাড়ি টান দিছি, পরে যাত্রাবাড়ী এসে পৌঁছলাম। ওইখানে কয়েক হাজার মানুষ আছে। আগুন জ্বলতেই আছে।
Advertisement
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, সকাল থেকেই শুরু কোটাবিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা বেলা ১১টায় এখানে এসেছে, তখন থেকে আমরা শান্তিপূর্ণই ছিলাম। সন্ধ্যা ৬টার পর তারা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আক্রমণ করে। আমরাও পাল্টা আক্রমণে যাই। ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত কোটাবিরোধীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। কিন্তু পরবর্তীতে কোটাবিরোধীদের পাশাপাশি উৎসুক জনতা, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এমনকি নারায়ণগঞ্জ, কদমতলী, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শত শত লোক রাস্তাটা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
আইএইচআর/এমএএইচ/