কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামে।
Advertisement
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় নগরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন হাজারো শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। জানাজা শেষে শিক্ষার্থীদের মিছিল নগরের আন্দরকিল্লায় গিয়ে শেষ হয়।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৩টায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও দুপুর থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী লালদীঘি ময়দানে অবস্থান নেন। জানাজায় অংশ নিতে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে আসেন সাধারণ মানুষও। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জানাজা নামাজ শেষে শিক্ষার্থীরা দলে দলে মিছিল সহকারে আন্দরকিল্লার দিকে এগিয়ে যান।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কে রাজাকার কে রাজাকার, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে বিএনপির গায়েবানা জানাজামঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে নগরের মুরাদপুরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পৌনে ৪টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে ষোলশহর থেকে মুরাদপুরের দিকে এগোতে থাকেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ওই মিছিল থেকেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় কয়েকজন অস্ত্রধারীকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। পরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা সংঘর্ষ।
সংঘর্ষে নিহত তিনজন হন। তারা হলেন- কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার শফিউল আলমের ছেলে মো. ওয়াসিম আকরাম, নোয়াখালীর ফারুক এবং ওমরগণি এমইএস কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ শান্ত। এদের মধ্যে ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা এবং ফারুক পথচারী।
এএজেড/বিএ/এএসএম
Advertisement