বগুড়ার শেরপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে শহরের ধুনট মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
Advertisement
পরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা চালায়। এতে করে শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে মার্কেটসহ সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন দোকানিরা।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিহতের ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এভাবে প্রায় তিনঘণ্টা ধরে চলে তাদের এ কর্মসূচি। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সোয়া ১টার দিকে মহাসড়ক দখল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলেন। এনিয়ে উভয়ের পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রতিবাদে ছাত্ররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা, দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক আইয়ুব আলী, সাংবাদিক আব্দুল হান্নান, সাংবাদিক ওমর ফারুকসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুমন জিহাদী এ প্রসঙ্গে বলেন, আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Advertisement
আরএইচ/জিকেএস