জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হল বন্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রশাসন। তবে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে দুপুর ১টা থেকে ক্যম্পাসের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছে দুই শতাধিক পুলিশ। এতে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
Advertisement
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন বিজিবির অন্তত ৪০ সদস্য। টহলে রয়েছেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া জরুরি সিন্ডিকেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা নেওয়া হয়। পরে বিজ্ঞপ্তিতে আকারে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে।
এতে আরেও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো যথারীতি খোলা থাকবে।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস, ট্রাফিক) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে ক্যাম্পাসের জানমাল রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য আমরা এসেছি।
সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য কল দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসআর/এএসএম
Advertisement