কোটা সংস্কারে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় ব্যাচমেটকে বয়কট করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের খুঁজতে হলে তল্লাশি চালানোয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩২তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
বয়কট হওয়া শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এ.এইচ. মাহফুজ (আদিল)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম’ নামক সংগঠনের সহ-সভাপতি। অন্যদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষিত শামসুল আরিফিন খান সানি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
এক পোস্টে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজ। তিনি ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তার ফলস্বরূপ ডিপার্টমেন্টের ব্যাচের সবার সঙ্গে আলোচনা করে তাকে ব্যাচের সকল কার্যক্রম থেকে বর্জন করা হলো। এমন ঘৃণিত কাজ যদি আরও কারো দ্বারা ঘটে তাহলে তার ক্ষেত্রেও এই একই বিধান কার্যকর হবে।
এদিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমাদের ব্যাচের বা ডিপার্টমেন্টের কোনো সিনিয়র, জুনিয়র বা বন্ধু কেউ যদি সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তাকে বা তাদেরকে ক্লাস এবং ডিপার্টমেন্টের সামগ্রিক যেকোনো প্রকার কাজ থেকে আমাদের ব্যাচের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। সোমবার রাত সাড়ে বারোটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের বিভাগের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি ছাত্র হলে কোটা আন্দোলনকারীদের খুঁজতে তল্লাশি চালান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জার এবং কষ্টের। আমরা ৩২ ব্যাচের শামসুল আরিফন খান সানিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ব্যাচের সকলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমাদের কোনো ব্যাচমেট যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বা হামলা চালানোর কাজে চেষ্টা বা সহায়তা করে তাহলে তার সঙ্গে আমরা ক্লাস করবো না। তাকে বয়কট করা হবে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছি যে, মাহফুজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার শাস্তিস্বরূপ আমরা তাকে বয়কট করেছি। তার সঙ্গে আমরা আর ক্লাস করবো না।
মনির হোসেন মাহিন/এফএ/জেআইএম