আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি বিএনপি-সমমনাদের

কোটা আন্দোলনের নিহতদের শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাকাসহ সারাদেশে গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‌‘আজকে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দল আগামীকাল বাদ জোহর বায়াতুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজায় অংশ নেবে। একই সঙ্গে সারাদেশে এ কর্মসূচি পালনের জন্য যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ ঘটনার দায় সরকার ও সরকারি দলেরএসময় যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলোর যৌথ বিবৃতি সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই সমুদয় ঘটনার পুরো দায়-দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলের। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেভাবে উস্কানি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন মোকাবিলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা গত ২ দিনের সমগ্র ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

আমরা এ পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ করে বলতে চাই যে, দমন-নিপীড়ন ও সহিংসতা চালিয়ে সরকার আজ এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, এখনও পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত শতাধিক সরকার দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওয়াত আনা হয়নি। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

আমরা আজ পুলিশের গুলিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমরা নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনাও জ্ঞাপন করছি। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক আহত ও নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।একই সাথে অবিলম্বে কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এই ন্যায়সঙ্গত দাবিতে দেশাবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল।

গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমএএইচ/